.jpg)
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মাসুদ করিম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও সংরক্ষণ সুবিধার অভাবে আমদানি করতে হয়। তবে, পেঁয়াজ সংরক্ষণের সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। এ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হলে পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন হবে না, বরং আমরা রপ্তানি করতে পারব। শুধুমাত্র পেঁয়াজ নয়, অন্যান্য কৃষি পণ্য সংরক্ষণের জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে, যা সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
শনিবার যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হোটেল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় কৃষি বিপণন আইন ও নীতি বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ করিম আরও বলেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কাজ করে, যেখানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তাদের বিষয়ে কাজ করে। অনেকেই এই দুটি সংস্থার কার্যক্রম গুলিয়ে ফেলেন যা ঠিক নয়। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কাজ করে এবং কৃষি পণ্য বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। তবে, এই কাজ সম্পন্ন করতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা নিয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।
ইউএসএআইডি ফিড দি ফিউচার বাংলাদেশ পলিসি প্রকল্পের সহায়তায় আয়োজিত এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহনাজ বেগম। কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। যশোরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহা এবং লিংক পলিসির সিনিয়র ম্যানেজার আশিক বিল্লাহও বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় কৃষিপণ্য উৎপাদক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।