ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার

আশাশুনিতে গলদা ক্লাস্টারের ২৫ চাষীর অভাবনীয় সাফল্য



মৎস্য

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(৪ সপ্তাহ আগে) ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

agribarta

আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ২৫ জন মৎস্য চাষী গলদা চিংড়ি এবং সবজি চাষের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা মুনাফা অর্জন করেছেন। সরকারি সহায়তা ও মৎস্য বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করে, তাঁরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে এই সাফল্য অর্জন করেন। তাঁদের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্টের আওতায় গঠিত গলদা ক্লাস্টার।

বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামে নিমাই চাঁদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ২৫ জন চাষী মিলে এই ক্লাস্টারের কার্যক্রম শুরু করেন। ৮৩৬ শতাংশ জমিতে ২৫টি পুকুর খনন করে চাষাবাদ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে পুকুর খনন এবং নেট ও বাঁশের চটা স্থাপন করতে খরচ হয় ১৫ লক্ষ টাকা। মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে চাষীদের চিংড়ির খাদ্য, চুন, প্রিবায়োটিক, প্রোবায়োটিক, মিনারেলসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করা হয়। পুকুরে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৮০ পিএল ছাড়া হয়, যা চাষীদের পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলভাবে পালন করা হয়।

১০ মাসের চেষ্টার পর ১৭টি পুকুর থেকে চাষীরা মাছ সংগ্রহ করেন এবং এতে মোট আয় করেন ১০ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। অবশিষ্ট পুকুরের মাছ বিক্রির মাধ্যমে তারা আরো ৭ লক্ষাধিক টাকা আয় করার আশা করছেন। সব মিলিয়ে, মাছ বিক্রি থেকে মোট আয় হবে ২১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা।

মাছ চাষের পাশাপাশি চাষীরা পুকুরের বাঁধে সবজি চাষ করেন। বর্ষা মৌসুমে চাষ করা সবজি থেকে আয় করেন ১০ লক্ষ টাকা এবং শীতকালীন সবজি থেকে আয় হবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সবজিতে মোট খরচ হয় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।

ক্লাস্টারের সভাপতি নিমাই চাঁদ বিশ্বাস জানান, প্রথমবারের মতো এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে তাঁরা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। মৎস্য দপ্তরের পরামর্শে তাঁরা ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের আশাবাদী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চাষীরা নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার জানান, চাষীদের উৎসাহিত করে তাঁরা চুক্তিবদ্ধ পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী তিন বছর চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন। মৎস্য বিভাগ চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাবে, যা তাঁদের আরও বড় মুনাফার পথে এগিয়ে নেবে।