.jpg)
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আশেপাশের গ্রামগুলোর বাসিন্দারা গত এক সপ্তাহ ধরে রাত জেগে কাটাচ্ছেন। বন্য হাতির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সংরক্ষিত বন উজাড়, পাহাড় কাটা এবং বন্য হাতির আবাসস্থল ধ্বংস করে বসতি গড়ে তোলায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বন্য হাতির খাদ্য ও বিচরণক্ষেত্র নষ্ট হওয়ায় তারা লোকালয়ে চলে আসছে।
চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন, কাকারা, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং ও ডুলাহাজারা এলাকায় হাতির পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে। দিনে পাহাড়ে থাকলেও রাতে তারা লোকালয়ে চলে আসছে। বিশেষ করে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে হাতির উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। দিন-রাত উভয় সময়েই হাতির পাল দেখা যাচ্ছে।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, হাতির পালে প্রায় ২৫টি হাতি রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি শাবকও আছে। এই হাতিরা ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ছে এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বন বিভাগ, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) এবং স্থানীয় চৌকিদাররা হাতিদের লোকালয় থেকে দূরে রাখতে কাজ করছেন।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজ উদ্দিন বলেন, সংরক্ষিত বন ও বন্য প্রাণী রক্ষায় বন বিভাগ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। হাতির পাল লোকালয়ে এলে বনকর্মী ও ইআরটি সেগুলোকে বনে ফেরানোর চেষ্টা করছে।