.jpg)
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাহাড়ের পাদদেশে একটি হাতির মরদেহ পাওয়া গেছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকায় হাতিটির মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে বন বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন জানান, ঘুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে তামাকক্ষেতের পাশে হাতির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বন বিভাগকে খবর দেন। খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং হাতিটির মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
স্থানীয়দের দাবি, হাতিটির মৃত্যু বৈদ্যুতিক ফাঁদের কারণে হতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে অনেক কৃষক তামাকক্ষেতের চারপাশে বৈদ্যুতিক তারের বেড়া দেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ফাঁদেই বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
তবে ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং তার তত্ত্বাবধানে হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হবে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মৃত হাতিটি একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ এবং বয়স আনুমানিক ৪০-৪২ বছর। শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন বা অসুস্থতার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। ফলে বৈদ্যুতিক ফাঁদই মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, জানুয়ারিতে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে হাতি হত্যায় বৈদ্যুতিক ফাঁদের ব্যবহার নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছিল। সেই সময় বেশ কিছু তামাকক্ষেত থেকে বৈদ্যুতিক ফাঁদও সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে তার পরও একই এলাকায় হাতির মৃত্যু হওয়ায় বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।