ঢাকা, ২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

শিমুল গাছ বিলুপ্তির পথে, পরিবেশ ঝুঁকিতে



পরিবেশ

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(৩ সপ্তাহ আগে) ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:৫০ পূর্বাহ্ন

agribarta

একসময় গ্রামবাংলার আকাশজুড়ে ছিল শিমুল ফুলের রঙের উৎসব। শীত বিদায় নিতেই প্রকৃতি ঢেকে যেত রক্তলাল শিমুল ফুলে, জানিয়ে দিত বসন্তের আগমনী বার্তা। কিন্তু আজ সেই চিত্র বদলে গেছে। দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিমুল গাছ কমে যাচ্ছে, যার ফলে বসন্তের সেই চিরচেনা রূপও বিলীন হওয়ার পথে।

আগে গ্রামের পথে-প্রান্তরে, নদীর ধারে, খেতের পাশে শিমুল গাছের সারি দেখা যেত। এখন সেসব জায়গায় শিমুলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। মানুষ শিমুল গাছকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে নির্বিচারে কেটে ফেলছে, কিন্তু নতুন করে বীজ বপন করা হচ্ছে না। ফলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই গাছ, যা পরিবেশের জন্যও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

প্রকৃতিপ্রেমী ও সংগঠক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, শিমুল গাছের সংখ্যা কমায় এর ওপর নির্ভরশীল পাখিরাও আবাস হারাচ্ছে। কাক, কোকিল, চিল, বকসহ নানা পাখি আগে এসব গাছে বাসা বাঁধত। এখন বড় গাছের অভাবে এসব পাখির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সবুর চৌধুরী ও ফারুক হোসেন জানান, অপরিকল্পিতভাবে গাছ কেটে ফেলার ফলে শিমুলের অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে। বসন্ত এলে শিমুল গাছের লাল ফুল প্রকৃতিকে অপরূপ সৌন্দর্য দিত, যা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তারা মনে করেন, শিমুল গাছ সংরক্ষণ এবং ব্যাপক হারে নতুন চারা রোপণ করা দরকার, যাতে প্রকৃতি তার রঙ ফিরে পায়।

বোচাগঞ্জ উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা নিরাঞ্জন রায় বলেন, শিমুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এটি একটি ঔষধি বৃক্ষও। শিমুল গাছের মূল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, বসন্তে যখন গাছে ফুল ফোটে, তখন প্রকৃতি এক মোহময় রূপ ধারণ করে। তাই শিমুল গাছ সংরক্ষণ ও নতুন করে রোপণের গুরুত্ব রয়েছে।