সেমিনারে বক্তারা

নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে রফতানি বাড়ানোর সময় এসেছে

সমকালীন কৃষি/
এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১ বছর আগে) ২২ জানুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ৪:১৩ অপরাহ্ন

agribarta

বাংলাদেশের আবহাওয়া শাকসবজি ও মৌসুমি ফল চাষের জন্য উপযোগী। দেশে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফলমূলের ফলন বেড়েই চলেছে। তাই সময় এসেছে এখন নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে বিদেশে রফতানি বাড়ানোর। আর এজন্য গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস (গ্যাপ) বা উন্নত কৃষিচর্চা অনুসরণে ফসল উৎপাদন প্রয়োজন। এতে উৎপাদন খরচ কমে এবং কৃষি কার্যক্রম টেকসই হয়। পাশাপাশি পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। তাই অতিদ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্যাপ কার্যক্রম শুরু করা অত্যাবশ্যক।

গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘ফল ও সবজি রফতানি বৃদ্ধিতে উত্তম কৃষিচর্চা বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আয়োজনে এবং ইউএসএআইডি ও ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বক্তারা বলেন, ‘উত্তম কৃষিচর্চার কমিটিতে একাডেমিয়া, বেসরকারি খাত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং সিভিল এভিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে যুক্ত করতে হবে। নিজ নিজ বিভাগগুলো তাদের সীমাবদ্ধতা ভালো বুঝতে পারবে। এতে উত্তম কৃষিচর্চা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’

গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেকৃবির উদ্ভিদ ও রোগতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পরিবহন, গুদামজাত ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় সবারই দায়িত্ব খাদ্যকে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন রাখা। উত্তম কৃষিচর্চা সারা পৃথিবীতে নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের বিষয়টি কঠোরভাবে অনুসরণ করে। উৎপাদনের প্রাথমিক পর্যায় থেকে খাদ্যশৃঙ্খলের বিভিন্ন পর্যায়ে বাছ-বিচারহীন বালাইনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার, ভারী ধাতব পদার্থের উপস্থিতি, অণুজীবের সংক্রমণ ইত্যাদি খাদ্য বা ফসলকে অনিরাপদ করে। এসব কারণে নিরাপদ খাদ্যপণ্য প্রাপ্যতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদনের শুরু থেকে সংগ্রহ, সংগ্রহোত্তর ও প্রক্রিয়াকরণ যেমন—মাঠ হতে সংগ্রহ, প্যাকেজিং, পরিবহন ইত্যাদি পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উত্তম কৃষিচর্চা অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন।’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া, আলোচনা সভার সভাপতি ও সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বক্তব্য রাখেন।