চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আজ

সম্পাদকীয়/
বণিক বার্তা

(৩ সপ্তাহ আগে) ১৪ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

agribarta

যানজট নিরসনে চট্টগ্রামে এর আগে নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি ফ্লাইওভার। আজ উদ্বোধন করা হবে বাণিজ্যিক এ নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে নামকরণ করা প্রায় ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কটি চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গায় গিয়ে শেষ হয়েছে। 

এটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হলে মহানগরীর যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখা ছাড়াও বিমানবন্দরে পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। যদিও যান চলাচলের জন্য পথটি খোলা হবে আগামী বছর।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দুটি প্রকল্প ‘জানে আলম দোভাষ সড়ক’ (বাকলিয়া সংযোগ সড়ক) এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সড়ক’ (বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট সংযোগ সড়ক) উদ্বোধন করবেন। সিডিএর এ তিন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। 

এর মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সড়কে টোল আদায় করা হবে। সরকারপ্রধান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল উদ্বোধন ও বে টার্মিনাল মাস্টারপ্ল্যানেরও মোড়ক উন্মোচন করবেন। এ উপলক্ষে নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সিডিএ।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ জুলাই অনুমোদন হওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকল্পের প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে হয় ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ ১১ হাজার টাকা। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ থাকা প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ। 

তাই আজ উদ্বোধন হলেও এ উড়ালসড়কে এখনই যান চলাচল করতে পারবে না। এমনকি একটি র‌্যাম্প বসানোর কাজও এখনো শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাই এ পথে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাণিজ্যিকভাবে যানবাহন চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সিডিএ।

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য প্রায় প্রস্তুত। উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হলেও সব ধরনের জটিলতা শেষ করে এটি শতভাগ কাজ শেষ করার পথে রয়েছে। 

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামের যানজট অনেকাংশে কমে যাওয়া ছাড়াও টানেল ও বিমানবন্দরের উদ্দেশে চলাচল করা যানবাহন দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবে।’