চাহিদা ভালো থাকায় খেত থেকেই বিক্রি হচ্ছে সরিষাবাড়ীর মিষ্টি আলু

বাজারদর/
এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১ বছর আগে) ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শনিবার, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

agribarta

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় চলতি মৌসুমে মিষ্টি আলুর ভালো ফলন হয়েছে। ফলনের পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৫৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ হয়েছে। চাহিদা ভালো থাকায় আলু খেত থেকে উত্তোলন করে সেখানেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও মিষ্টি আলুচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ভাটারা ও কামরাবাদ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। ২ ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম মিলিয়ে মোট ৩০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। মূলত অগ্রহায়ণের শুরুতে জমিতে আলুর চারা রোপণ করতে হয়। ৫০ শতক আলু আবাদ করতে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতি শতক জমিতে তিন মণ আলু উৎপাদিত হয়েছে। প্রতি মণ আলু ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি আলুতে বিনিয়োগ কম লাগে। অল্প খরচ করেই বেশি লাভ হয় বলে অনেক কৃষকই এখন মিষ্টি আলু চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

কামরাবাদ ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আগে এই এলাকার কৃষকেরা জমিতে ইরি, বোরো, আউশ ধানের আবাদ করতেন। তবে এখন ধান আবাদে অনেক খরচ। সেই তুলনায় ফসলও কম। কিন্তু মিষ্টি আলু আবাদে খুব বেশি বিনিয়োগ লাগে না। ফসলও বেশি পাওয়া যায়। তাই এবার ধানের আবাদ না করে মিষ্টি আলু আবাদ করছেন তিনি।

কান্দারপাড়া গ্রামের কৃষক জিলানী মিয়া বলেন, ‘এ বছর আমি দুই বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু আবাদ করেছি। ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ২৫০ মণ ফসল পেয়েছি। প্রতি মণ ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার বেশি লাভ হয়েছে।’

ধারাবর্ষা গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর ১১০ শতক জমিতে মিষ্টি আলু চাষে খরচ হয়েছে। প্রায় ২০০ মণ ফসল পেয়েছেন তিনি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। দামও বেশি পেয়েছেন।

কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, তাঁর ইউনিয়নের ৪টি গ্রামে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত মিষ্টি আলু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। আলু আবাদ লাভজনক হওয়ায় ধানের পরিবর্তে কৃষক দিন দিন আলু আবাদের দিকে ঝুঁকছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এবার সরিষাবাড়ীতে মিষ্টি আলুর খুব ভালো ফলন হয়েছে। আলু আবাদে সার কম লাগে, খরচও কম হয়, তবে ফসল বেশি হয়। কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় মিষ্টি আলুর চাষ বেড়েছে।