
নেত্রকোনার কয়েকটি উপজেলায় উঠতি আমন ধানে লেদা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে হতাশ হয়ে পড়ছেন কৃষক। কেউ কেউ আধপাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন, আবার কেউ কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। এ অবস্থায় দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার ১০ উপজেলায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে কাটা হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ জমির। নির্ধারিত জমিতে প্রায় ৫ লাখ ৯১ হাজার ৭০০ টনের অধিক ধান উৎপাদিত হবে। আর উৎপাদিত হবে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫২২ টন চাল।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।’
লেদা পোকার আক্রমণের ব্যাপারে কৃষি বিভাগের কী পরামর্শ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকায় লেদা পোকা ধান আক্রান্ত করছে। তাতে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।’
কৃষকরা জানান, শেষ সময়ে জেলা সদরসহ কয়েকটি উপজেলায় বিশেষ করে বারহাট্টা, কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও কেন্দুয়ায় দেখা দিয়েছে লেদা পোকার আক্রমণ। এ কারণে আধাপাকা ধানে কীটনাশক স্প্রে করছেন কেউ কেউ। অনেকে আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন।
সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের টেঙ্গা গ্রামের কৃষক আবু চাঁন মিয়া বলেন, ‘এ বছর আমনের ফলন হয়েছে ভালো। ধানও কাটার পথে। কিন্তু লেদা পোকার আক্রমণে কাঙ্ক্ষিত ফলন ঘরে তোলা যাবে না। ধানের শীষ কেটে দিচ্ছে লেদা পোকা। কীটনাশকও কাজে আসছে না।’
মেদনী গ্রামের কৃষক রাশিদ মিয়া বলেন, ‘আমার ১০ কাটা জমিতে যেখানে বিগত বছরে ৪৫-৫০ মণ ধান হয়েছে। লেদা পোকার আক্রমণের কারণে এ বছর ফলন হয়েছে ৩০-৩২ মণ। গ্রামের সব কৃষকের প্রায় একই অবস্থা।’
সাবস্ক্রাইব করুন এগ্রিবার্তার ইউটিউব চ্যানেল।