agribarta

ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাকৃবির ৩৯২ জন


গবেষণা

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(২ সপ্তাহ আগে) ৬ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

agribarta

আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং প্রকাশক সংস্থা 'আলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স' সম্প্রতি বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৩৯২ জন গবেষক জায়গা করে নিয়েছেন।

জানা যায়, প্রকাশিত 'ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাঙ্কিং-২০২৪'-এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাংলাদেশের ২০৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে বাকৃবির বিভিন্ন বিভাগের ৩৯২ জন গবেষক এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

এতে বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৭৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পেয়েছে। র‍্যাঙ্কিং তালিকায় এ বছর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাকৃবির অবস্থান চতুর্থ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাঙ্কিং হিসেবে আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে বাকৃবির অবস্থান ৮৪৯তম এবং বিশ্বে ২ হাজার ৪৪৩ তম।

এ বছরের তালিকায়ও বাকৃবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম রফিকুল ইসলাম। তিনি এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে বাকৃবির সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কে স্থান পেয়েছেন। এছাড়া প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাকৃবির অবস্থান পঞ্চম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০ জনের মধ্যে রয়েছে, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম জহিরুদ্দিন, জেনেটিক্স ও প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যানিম্যাল ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের লেকচারার মো. রফিকুল ইসলাম, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, অ্যানাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, অ্যাগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান সরকার, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তানভীর রহমান, ফিসারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসাইন ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণামুখী। এখানকার গবেষকবৃন্দ বিশ্বসেরায় জায়গা করে নিবে, এটি খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাদের গবেষণার সুফল আজ জাতি ভোগ করছে। এটি সবাই এখন স্বীকার করে। সামনে আরও গবেষণার মাধ্যমে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আমাদের গবেষকবৃন্দ ভূমিকা রাখবেন। তখন বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকাটি আরও বড় হবে।

উল্লেখ্য, প্রকাশিত এই তালিকায় বাংলাদেশের সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, সেরা কোম্পানি হিসেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং সেরা হাসপাতাল হিসেবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল স্থান করে নিয়েছে।