হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ

কৃষি অর্থনীতি/
এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১ বছর আগে) ১৮ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

agribarta

নতুন করে আমদানির অনুমতি না দেয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। এতে দেশের বাজারে সরবরাহ কমে দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা। রমজানে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

গতকাল সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এর আগের দিন অনুমতি থাকা মেয়াদের শেষ দিনে বন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে ১৯২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘‌আমরা শুনছি দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ও উদ্বুব্ধ করতে কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত একেবারে ভুল। আমদানি বন্ধ হলেও দেশীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ে না। তারাও মজুদ করে। এতে দেশের বাজারে সরবরাহ ঘাটতি শুরু হলে দামও বাড়ে। কয়েকদিন পরই রমজান শুরু হবে। তাই এ সময় বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে, সে লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়া উচিত বলে আমরা মনে করছি।’

আরেক আমদানিকারক শাহিনুর রেজা বলেন, ‘‌পুরনো আইপির মেয়াদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত ছিল। নতুন করে আর পেঁয়াজ আমদানির আইপি না দেয়ায় আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারছেন না। যার কারণে আজ সকাল থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। এতে আমদানি বন্ধের সুযোগে মধ্যস্বত্বভোগী বা সিন্ডিকেট পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ভোক্তা থেকে শুরু করে আমদানিকারক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

হিলি স্থলবন্দরের ম্যানেজার অশিত স্যানাল বলেন, ‘‌গতকাল সকাল থেকে বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে ১৫ মার্চ বন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে ১৯২ টন আমদানি হয়েছিল।’

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘‌আমদানির আইপি ঢাকার খামারবাড়ীতে কোয়ারেন্টিন অথরিটি ইস্যু করে। আমরা স্থানীয় অফিসগুলো শুধু অনলাইনে দেখতে পাই কে আইপি পেল বা কতদিন মেয়াদ। সে অনুযায়ী আমদানির অনুমতির ক্ষেত্রে দেখছিলাম যেসব অনুমতি দেয়া হচ্ছিল, সেগুলোর মেয়াদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় শেষ হয়ে গেছে, তাই নতুন করে অনলাইনে কোনো পেঁয়াজের আইপি দেখা যাচ্ছে না। আর আইপি যদি না পাওয়া যায়, তাহলে এলসি খোলাসহ রিলিজ অর্ডার পাওয়ার সুযোগ নেই। যার কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ।’

তিনি বলেন, ‘যদি নতুন করে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে। তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য বা কবে নাগাদ ইস্যু হতে পারে এটি আমাদের জানা নেই। এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারে।