ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার

কিছুটা বেড়েছে ডিম-মুরগির দাম



প্রাণীসম্পদ

প্রথম আলো:

(১ সপ্তাহ আগে) ৩০ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবার, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

agribarta

বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম প্রতি ডজন ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। ডিমের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। সবজির মধ্যে বরবটি ও আলুর দামও বেড়েছে। অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজারে ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫৫ টাকা দরে। তবে গত দুই দিনে ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে। এদিকে বন্যার কারণে গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে ডিমের ডজন হয়েছিল ১৮০ টাকা। পরে সরবরাহ ঠিক হওয়ায় তা আবার স্বাভাবিক দামে ফিরেছে।

আগের সপ্তাহের তুলনায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১০ টাকার মতো বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৬০-১৭০ টাকা; যা গতকাল ১৭০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম ২৪০-২৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মাছের দামেও তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। যেমন আগের সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি (চাষের) রুই ৩০০-৩৩০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে ইলিশের দাম চড়া রয়েছে। বাজারভেদে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা এবং বরবটি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কোনো কোনো বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০-১২৫ টাকায়। অন্যান্য সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। যেমন প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়।

এসব মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে শুধু কাঁচা মরিচের দাম কমার কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে এখন আমদানি করা তথা ভারতীয় কাঁচা মরিচই বেশি বিক্রি হচ্ছে। গতকাল ঢাকায় এ ধরনের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ১৮০-২২০ টাকায়; যা এক সপ্তাহ আগে ২০০-২৫০ টাকা ছিল। এ ছাড়া গত এক মাসে খুচরা পর্যায়ে চালের দাম কেজিতে ৪-৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। সেই দাম এখনো কমেনি।

এদিকে সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি বন্ধের কথা শোনা গেছে। যদিও চাঁদাবাজি বন্ধের প্রভাব খুচরা বাজারে খুব একটা নেই বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি মনে করেন, এখন চাঁদাবাজেরা সক্রিয় নেই। ফলে দাম অনেক কমে আসার কথা। কিন্তু বাজারে দাম আগের মতোই আছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় দাম কমছে

বর্তমানে বেশির ভাগ বন্যাকবলিত এলাকায় এখন পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ওই সব জেলায় সবজি, মুরগি, ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছিল। যদিও গত তিন দিনে অধিকাংশ পণ্যের সরবরাহ ও দাম প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে।

যেমন বন্যার মধ্যে চট্টগ্রামে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় উঠেছিল, যা গতকাল ২০০-২৫০ টাকায় নেমে আসে। একইভাবে টমেটোর কেজি ৩৫০ থেকে কমে ১৮০-২০০ টাকা হয়েছে। চট্টগ্রামে অন্যান্য সবজির দাম বন্যার আগের সময়ের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকার মতো বেশি রয়েছে।

এ ছাড়া ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর অনেক এলাকা এখনো ডুবে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এসব এলাকার হাটবাজারে বেচাকেনা বন্ধ আছে। যেসব এলাকায় বন্যার পানি কমেছে, সেখানে বেচাকেনা শুরু হলেও দাম স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি।