তুলা আমদানি সহজ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা

সমকালীন কৃষি/
এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১০ মাস আগে) ৯ মে ২০২৩, মঙ্গলবার, ৫:৪৭ পূর্বাহ্ন

agribarta

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা দিয়ে প্রস্তুতকৃত পোশাকের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেয়া হলে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারকরা এবং মার্কিন তুলা চাষীরা উভয়েই উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি এ কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে মার্কিন বাজারে উচ্চমানের পোশাকসহ পোশাক রফতানি ও তুলা আমদানি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। ফারুক হাসান বলেন, ‘এ অর্জনগুলোর কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রতি বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চসংখ্যক সবুজ পোশাক কারখানার আবাসস্থল হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অবস্থান নিশ্চিত করেছে।’

বিজিএমইএ সভাপতি শ্রম অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইনি সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মাসিক মজুরির জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠনের বিষয়েও রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বেসিক আইটেম থেকে মূল্য সংযোজিত পোশাক, বিশেষ করে নন-কটন ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ভিত্তিক পণ্যে যাওয়ার মাধ্যমে তৈরি পোশাক খাতে বৈচিত্র্যকরণের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। একই সঙ্গে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার জন্য প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা গ্রহণ ও বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ফারুক হাসান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা দিয়ে প্রস্তুতকৃত পোশাকের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেয়ার জন্য মার্কিন সরকারকে অনুরোধ জানান।

এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশাল অগ্রগতি সাধনের জন্য বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রশংসা করেন এবং অর্জনগুলোকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপর জোরালোভাবে গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আগামী দিনেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।