অর্থনীতি প্রাণবন্ত রাখতে ভূমিকা রাখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল

কৃষি অর্থনীতি/
এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১০ মাস আগে) ১৮ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৬:১০ পূর্বাহ্ন

agribarta

বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির জীবনীশক্তি মনে করা হয় কৃষিকে। আর অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই)। দেশের মোট শ্রমশক্তির সিংহভাগই নিয়োজিত এ দুটি খাতে। যদিও ব্যাংকঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বরাবরই উপেক্ষিত থেকেছেন কৃষক ও এসএমই উদ্যোক্তারা। এ অবস্থায় পুনঃঅর্থায়ন তহবিল নিয়ে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সিএমএসএমই খাতের জন্য গঠন করা হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। এ তহবিলের পুরো অর্থই ব্যাংকগুলোকে প্রি-ফাইন্যান্স বা আগাম অর্থায়ন হিসেবে জোগান দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে কৃষি খাতের জন্য। প্রান্তিক ও অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করেই এ দুটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। তবে শুধু এ দুটি তহবিলই নয়, গত এক বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠন করেছে ৬২ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। মুদ্রাবাজারে তারল্যের জোগান বাড়ানোর পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানোই যেখানে মূল লক্ষ্য।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গঠন করা তহবিলগুলোর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার রফতানি সহায়ক প্রাক-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএফ), রফতানিমুখী শিল্পের প্রি-শিপমেন্ট বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল, রফতানি ও উৎপাদনমুখী শিল্প খাতকে টেকসই করতে ৫ হাজার কোটি টাকার গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ)। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) বিভিন্ন দাতা সংস্থার অর্থায়নেও কৃষি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বেশ কয়েকটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে।

গঠিত তহবিল থেকে দশমিক ৫০ থেকে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ সুদে অর্থ ধার নিতে পারছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত সুদে গ্রাহকদের কাছে ঋণ পৌঁছানোর পরও কোনো কোনো তহবিলে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত  স্প্রেড পাচ্ছে ব্যাংকগুলো। নতুন তহবিলগুলো ছাড়াও কভিড-১৯ সৃষ্ট আর্থিক দুর্যোগের সময় গঠিত প্রণোদনা তহবিল থেকেও ব্যাংকগুলো কম সুদে অর্থ ধার করতে পারছে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে তারল্য নিয়ে চাপে আছে দেশের ব্যাংকগুলো। বেশি সুদের প্রস্তাব দিয়েও গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত পাচ্ছে না দেশের অনেক ব্যাংক। আবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (কলমানি) থেকেও চাহিদা অনুযায়ী অর্থের সংস্থান হচ্ছে না। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ ধারের প্রধান মাধ্যম রেপোর সুদহারও। এতে ব্যাংকগুলোর তহবিল সংগ্রহ ব্যয় বা কস্ট অব ফান্ড বেড়ে গেছে। যদিও ব্যাংকের আয়ের উত্স বা ঋণের সুদহার স্থির আছে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশেই। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলগুলোই এখন দেশের ব্যাংক খাতের লাইফলাইন বা বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে উঠেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আর ব্যাংক নির্বাহীরা বলছেন, গ্রাহকের কাছ থেকে মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করতে ব্যাংকগুলোকে এখন ৬ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হচ্ছে। সংগৃহীত আমানতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ১ থেকে ৩ শতাংশ তহবিল ব্যয়। সব মিলিয়ে ব্যাংকের কস্ট অব ফান্ড গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৯-১০ শতাংশে। যদিও ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে। মুনাফা না হয়ে এ ধরনের বিনিয়োগে উল্টো মূলধন হারানোর ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলগুলোই অধিকতর লাভজনক। কোনো কোনো বিশেষ তহবিলে ৫ শতাংশ পর্যন্ত স্প্রেড পাওয়া যাচ্ছে। বিনিয়োগ সঠিক হলে ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলগুলো ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকও চাচ্ছে ব্যাংকগুলো পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে বেশি পরিমাণ অর্থ ধার নিক। এতে উৎপাদনমুখী শিল্পের প্রসার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নিজেও চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় এমন মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ব্যাংকগুলোকে রেপোর মাধ্যমে ধার নেয়ায় নিরুত্সাহিত করছি। এজন্য রেপোর সুদহার বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫০ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে। এসব তহবিলের সুদহার অনেক কম। আমরা চাইছি, ব্যাংকগুলো বিশেষ তহবিলগুলো থেকে টাকা নিয়ে ঋণ বিতরণ করুক।’

দেশের ব্যাংকঋণের বৃহৎ অংশই গেছে মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পে। বড় ঋণ দেয়ায় ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অতিউত্সাহ থাকলেও বিপরীত চিত্র ছোট ঋণে। দেশের ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের কাঠামোও গড়ে উঠেছে বড়দের ঘিরে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হাতে ঋণের সুফল পৌঁছানোর অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারেনি ব্যাংকগুলো। তবে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। আর কিছু ব্যাংক নিজ থেকেই উদ্যোগী হয়ে নিজেদের সিএমএসএমই ও কৃষি খাতে ঋণ পোর্টফোলিও বাড়াচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত সিএমএসএমই খাতের জন্য গঠিত ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে তহবিলের অর্থ নিয়ে গ্রাহকদের ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। আর কৃষি খাতের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলের ঋণ বিতরণও সন্তোষজনক বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেক আগে থেকেই সিএমএসএমই ও কৃষি খাতে ঋণ বিতরণে জোর দিয়ে আসছে। ব্যাংকগুলোর সিএমএসএমই ঋণের পোর্টফোলিও মোট ঋণের ২৫ শতাংশে উন্নীত করার একটি লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করে দেয়া আছে। আর কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের জন্য প্রতি বছরের শুরুতে একটি নীতিমালা ঘোষণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে উৎপাদনমুখী সিএমএসএমই ও কৃষিতে ঋণ বিতরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উত্সাহের কোনো কমতি নেই।’

উৎপাদনমুখী শিল্প, সেবা ও কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্যই পুনঃঅর্থায়ন তহবিলগুলো গঠন করা হয়েছে বলে জানান মেজবাউল হক। তিনি বলেন, ‘আমদানি দায় পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশ ব্যাংক গত এক বছরে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এর মাধ্যমে বাজার থেকে সমপরিমাণ টাকা উঠে এসেছে। বাজারে যাতে তারল্যের সংকট না হয় সেজন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের মাধ্যমে টাকা সরবরাহ করছে। পুনঃঅর্থায়ন তহবিলগুলো গঠন করা হয়েছে উৎপাদনমুখী শিল্প, সেবা ও কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য। তহবিলগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের ব্যাংক খাতও উপকৃত হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এ ঋণের মধ্যে ৫১ হাজার ২৭৭ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল কৃষি খাতে। আর সিএমএসএমই খাতে বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। তবে এসএমই ঋণের মধ্যে মাত্র ৪১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা কুটির, ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পের। মাঝারি শিল্পে ঋণ গেছে ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা।

দেশের সিএমএসএমইর জন্য গত বছরের ১৯ জুলাই ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিশেষ এ তহবিল থেকে বার্ষিক ২ শতাংশ সুদে টাকা নিতে পারছে ব্যাংকগুলো। গ্রাহক পর্যায়ে এ ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ শতাংশ। সিএমএসএমই খাতের জন্য গঠিত এ তহবিলে ব্যাংকগুলো স্প্রেড পাচ্ছে ৫ শতাংশ।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্থে গঠিত রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ওপর চাপ কমাতে দেশীয় মুদ্রায় একটি বিশেষ স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ এ তহবিলের নাম দেয়া হয়েছে ইএফপিএফ। এ তহবিল থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দেড় শতাংশ সুদে অর্থ ধার নিতে পারবে। ধার নেয়া অর্থে রফতানিকারকদের সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। একজন রফতানিকারক সর্বনিম্ন ৫ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন। উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি বা স্থানীয় সংগ্রহের জন্য এ তহবিলের ঋণ ব্যবহূত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রফতানিমুখী শিল্পের প্রি-শিপমেন্ট খাতের জন্যও ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে। বিশেষ এ তহবিলের নাম দেয়া হয়েছে ‘প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’। এ তহবিল থেকে ব্যাংকগুলোকে অর্থ দেয়া হচ্ছে দশমিক ৫ শতাংশ সুদে। আর গ্রাহক পর্যায়ে এ তহবিলের ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। রফতানি ও উৎপাদনমুখী শিল্প খাতকে টেকসই করতে জিটিএফ নামে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর জন্য এ তহবিলের সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ শতাংশ। আর গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ সুদে সবুজ অর্থনীতির বিশেষ এ তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছেন। আবার জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন, পরিচালন ও বিকাশের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়।

দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষি খাতের জন্য পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকার। গত ১৭ নভেম্বর গঠিত এ তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো ধার নিতে পারছে মাত্র দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে। গ্রাহক পর্যায়ে এ ঋণের সর্বোচ্চ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ শতাংশ। ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কে কৃষকদের মধ্যে এ ঋণ বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ধান, মত্স্য, শাকসবজি, ফল-ফুল চাষের পাশাপাশি পোলট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদন খাতে বিশেষ এ তহবিলের ঋণ ব্যবহূত হবে। কৃষি খাতের জন্য ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কমন ফান্ড’ (বিবিএডিসিএফ) নামে একটি তহবিলও গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ ব্যাংকগুলো নিজেদের অর্জন না হওয়া অংশের সমপরিমাণ অর্থ বিশেষ এ তহবিলে জমা দেবে। এ তহবিল থেকে অন্য ব্যাংকগুলোকে ২ শতাংশ হারে অর্থ জোগান দেয়ার বিধান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কৃষি খাতের জন্য গঠিত তহবিল থেকে এরই মধ্যে ৯২ কোটি টাকার ঋণ কৃষকদের হাতে সরাসরি পৌঁছে দিয়েছে এবি ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল জানান, দেশের আটটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকার ১২ হাজারের বেশি কৃষকের হাতে আমরা স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণ পৌঁছে দিয়েছি। আগামীতে সারা দেশের কৃষকদের মাঝে ঋণ পৌঁছানোর কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। কৃষি খাতের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গঠন করা তহবিলটি দেশের খাদ্য উৎপাদনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

কভিড-১৯-এর অভিঘাত থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যকে সুরক্ষা দিতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এসব প্যাকেজের মধ্যে বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের ৩৩ হাজার কোটি টাকা এবং এসএমই খাতের জন্য ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের তৃতীয় ধাপ এখনো বাস্তবায়নাধীন। কভিডের সময় ঘোষিত আরো কিছু প্রণোদনা প্যাকেজ এখনো চলমান রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।