ঢাকা, ১৪ জুন ২০২৫, শনিবার

পিঁপড়ার ডিম: মুরগির চেয়ে দাম বেশি



মৎস্য

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(৭ মাস আগে) ২২ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৫:১৪ অপরাহ্ন

agribarta

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের মধ্যে পিঁপড়ার ডিমের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। বাজারে এক কেজি পিঁপড়ার ডিমের পাইকারি দাম প্রায় ১৮০০ টাকা, যখন খুচরা পর্যায়ে এটি ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন শাল গজারির বনে যুবকরা লাল পিঁপড়ার বাসা খুঁজে ডিম সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন, যেন তারা বনের গভীরে গুপ্তধন খুঁজছেন।

সৌখিন মৎস্য শিকারীরা জানান, বড়শি দিয়ে মাছ ধরার জন্য এই লাল পিঁপড়ার ডিম খুবই প্রয়োজনীয়। এই ডিম ব্যবহার করে মাছ শিকার করা সহজ। সারা বছর ধরে এই ডিমের চাহিদা থাকায় যুবকরা সংঘবদ্ধ হয়ে ডিম সংগ্রহ করে, যা তাদের জীবিকা নির্বাহে সহায়ক।

স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, সখীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা অসংখ্য শাল গজারি বন রয়েছে। উঁচু গজারি গাছের ডালপালা থেকে লম্বা বাঁশ ব্যবহার করে লাল পিঁপড়ার বাসা ভাঙা হয় এবং সেখান থেকে সাদা ডিম সংগ্রহ করা হয়। বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে এই ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হয়।
ডিম সংগ্রহকারী আবু তাহের বলেন, “আমরা ১০-১২ জন মিলে প্রতিদিন পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করি। বড় একটি বাসা থেকে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত ডিম পাওয়া যায়। প্রতিদিন আমরা দেড় থেকে দুই কেজি ডিম সংগ্রহ করি এবং পাইকারিতে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি করি।”

মাছ শিকারী মো. সুজন আহমেদ বলেন, “আমরা খুচরা ২৫০ গ্রাম ডিম কিনি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। এর মানে প্রতি কেজি ডিমের দাম দুই হাজার থেকে ২৫০০ টাকা।”

পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. রহিজ উদ্দিন মিয়া বলেন, “বনের পাখিরা পিঁপড়া ও কীটপতঙ্গ খেয়ে বেঁচে থাকে। তাই পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ছোট প্রাণি হলেও পিঁপড়ার ভূমিকা রয়েছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়। এজন্য অবাধে পিঁপড়া নিধন করা উচিত নয়।”