
ঠাকুরগাঁওয়ের পিংনা গোপালগঞ্জহাট একটি ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট, যা জেলার পাশাপাশি শেরপুর ও টাঙ্গাইলসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বৃহত্তম গরুর হাট হিসেবে পরিচিত। এই হাট থেকে সরকারের রাজস্বের বড় অংশ আসে, কিন্তু স্থানীয়দের জন্য এটি প্রতি সপ্তাহে দুর্ভোগে পরিণত হয়। প্রতি শুক্রবার বসা এই হাটে জল ও স্থল উভয় পথ ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন।
এতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়, এবং উপজেলা প্রশাসন প্রতিবছর কোটি টাকা রাজস্ব পায়। তবে, বাংলা ১৪৩০ সালে প্রশাসন ৮৮ লাখ ৫৭ হাজার ২৪ টাকা চাহিদা মূল্যে দরপত্র আহ্বান করে, যা পরে ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। পরবর্তী বছর এটি বেড়ে ১ কোটি ১২ লাখ ২৫ হাজার ৬৯০ টাকায় পৌঁছায়।
রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত দরপত্র হলে হাটটির মূল্য তিন থেকে চার কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, হাটের জন্য সরকারি জায়গা নেই; এটি পিংনা রসপাল বড় জামে মসজিদের জায়গায় বসে। ফলে মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং মানুষের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, সরকারি অনুমতি ছাড়া মহাসড়কের ওপর কোনো অবকাঠামো নির্মাণ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, কিছু অসাধু ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি জায়গা কালো টাকার বিনিময়ে লিজ নিয়ে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।
পিংনা রসপাল বড় জামে মসজিদের সভাপতি আবু সামা জানান, মসজিদের জায়গা ভাড়া দিয়ে তারা প্রতি বছর আয় করেন। হাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাইজু বলেন, জায়গার অভাবে তারা বাধ্য হয়ে মহাসড়কের ওপর গরু ধরে রাখছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানিয়েছেন, নির্ধারিত জায়গা থাকলে প্রধান সড়কে হাট বসানোর প্রয়োজন পড়বে না। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।