ঢাকা, ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

মাছ বিক্রয়ের জন্য স্থায়ী কেন্দ্র নেই দৌলতপুরে



মৎস্য

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(৮ মাস আগে) ২২ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৫:২৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৮:৫৬ অপরাহ্ন

agribarta

দৌলতপুরের পদ্মাপাড়ে বছরে প্রায় একশ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হলেও স্থায়ী কোনো বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। ফলে, স্থানীয় জেলেরা তাদের মাছের সঠিক দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারি উদ্যোগে একটি মৎস্য বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন তারা।

দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর, মরিচা, রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নগুলো নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে প্রায় ৯০০ জেলের জীবিকা মাছ শিকারের ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিন তারা পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন বাজারে মাছ বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই মাছের বেচাকেনা, যেখানে স্থানীয় এবং আশপাশের জেলার ক্রেতারা উপস্থিত হন।

এখানে চিংড়ি, পিউলি, চ্যালা, ঘাউরা, বাঁশপাতা, বাইম, বেলে ও ট্যাংরা সহ বিভিন্ন প্রকার মাছ পাওয়া যায়। মাছের দাম আকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

পদ্মা তীরবর্তী হওয়া সত্ত্বেও দৌলতপুর উপজেলায় এখনও কোনো স্থায়ী মৎস্য বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। এর ফলে জেলেরা তাদের মাছের সঠিক দাম পাচ্ছেন না এবং দ্রুত বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এলাকার জেলেরা দাবি করেছেন, সরকারি উদ্যোগে একটি মৎস্য বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হলে তাদের জীবিকা উন্নত হবে এবং এই অঞ্চলের মৎস্যখাত ভিত্তিক অর্থনীতিরও উন্নতি ঘটবে।

স্থানীয় জেলে সিদ্দিক ও জামাল জানান, তারা প্রতিদিন পদ্মা নদী থেকে শিকার করা মাছ স্থানীয় বাজারে নিয়ে আসেন এবং কিছু পরিমাণ কুষ্টিয়া শহরের আড়তেও পাঠান। তাদের আয় দিয়ে সংসার চলে।

জেলে দলের নাজমুল ও মিন্টু জানান, মাছের দাম নির্ধারণ হয় আকার ও প্রকারভেদ অনুযায়ী। আবার কখনও ক্রেতার সংখ্যা বেশি হলে দাম কমে যায়।

দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ বলেন, মে মাসের শেষ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নদীতে মাছের প্রাচুর্য থাকে। প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার কেজি মাছ বিক্রি হয় এবং বছরে এ থেকে ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় হয়।

সরকারিভাবে একটি মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে তিনি জানান, তারা একাধিকবার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি মনে করেন, একটি স্থায়ী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে মৎস্য খাতের আরও উন্নতি হবে।