রাজধানীর কাঁচাবাজারে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও তা রোধ করা যাচ্ছে না। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না।
রোববার বিকালে কারওয়ান বাজারে বেগুন কিনতে আসা হারুন অর রশিদ জানান, তার কাছে বাজারের ব্যাগ ছিল না, তাই বিক্রেতা তাকে পলিথিনে পণ্য দিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও কেন পলিথিন ব্যবহার করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অফিস থেকে বের হয়েছি, ব্যাগ আনতে পারিনি। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকলে পলিথিন বন্ধ করা সম্ভব নয়।”
দুই দশক আগে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু মানুষ তা ভুলে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে এবং ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারগুলোতে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছে। তবে তিন দিন পরেও পলিথিনের ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে।
সুপারশপগুলোতে পলিথিনের ব্যবহার কমলেও কাঁচাবাজারে পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে না। সবজি বিক্রেতারা জানান, গ্রাহকরা পলিথিন ছাড়া পণ্য নিতে চান না।
কারওয়ান বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, “ক্রেতারা যদি অন্য দোকানে চলে যান, তাহলে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
এদিকে, বিজয় সরণির কলমিলতা কাঁচাবাজারেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। ক্রেতারা পলিথিন ছাড়া অন্য কোনো ব্যাগ নিতে রাজি হচ্ছেন না।
সরকারের পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন অনেকেই। কিছু ক্রেতা বাসা থেকে বড় ব্যাগ নিয়ে আসছেন এবং শুকনো পণ্য পলিথিন ছাড়া রাখছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ ও বাজারজাতের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
সম্প্রতি ১ হাজার ৭০০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে এবং কয়েকটি কারখানাকে জরিমানা করা হয়েছে।
সুপারশপগুলোর পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তিত হলেও কাঁচাবাজারে পরিবর্তন আনা কঠিন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।