
রমজান মাসের আগমনের সাথে সাথে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকার। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। চার মাস আগে থেকেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়ানোর কার্যক্রম চলছে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার এখন থেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে চাইছে, যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে না হয়। সম্প্রতি সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার অরাজনৈতিক এবং সীমিত উপদেষ্টাদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে, ফলে সিন্ডিকেট আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রমজান মাসে পণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাই সরকার ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের জন্য এলসি মার্জিন তুলে দেওয়া, ঋণ গ্রহণের সুযোগ এবং শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এসব সুবিধা সত্ত্বেও বাজারে দাম কমছে না, বরং ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুনাফা বাড়াচ্ছে।
এদিকে, বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স অভিযান চালাচ্ছে। কৃষি পণ্যের ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির কার্যক্রমও চলছে। তবে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে রমজান নির্ধারিত পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের মতে, প্রতি কেজি ছোলা বর্তমানে ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২৫-১৩০ টাকা। একইভাবে ভোজ্য তেলের দামও বেড়েছে।
পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনও ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে ছিল ১২০ টাকা। সব মিলিয়ে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সাধারণ মানুষ।