ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার

পণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে হাহাকার মধ্য ও নিম্নবিত্তের



জাতীয়

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(৩ মাস আগে) ১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

agribarta

বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের একাধিক উদ্যোগের পরও পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে না। অসাধু মহলের কারসাজিতে প্রতি সপ্তাহেই কিছু না কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে।

উদাহরণস্বরূপ, নতুন আলু বাজারে এলেও পুরাতন আলুর দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকায় পৌঁছেছে।

বাজারে সংকট না থাকা সত্ত্বেও ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি ক্রেতাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিটারে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। একইভাবে, পেঁয়াজ, আদা-রসুন, এলাচসহ সব ধরনের মসলার দামও অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। চাল, আটা-ময়দার দামও অগ্নিমূল্যে বিক্রি হচ্ছে, ফলে মধ্য ও নিম্নবিত্তের মধ্যে হাহাকার বাড়ছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, নতুন সরকারের কাছে ভোক্তাদের আশা ছিল যে পণ্যের দাম কমবে। কিন্তু বাজার পরিস্থিতি সে রকম নয়। সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, তবে সেগুলো কার্যকর করতে হলে বাজারে তদারকি বাড়াতে হবে।

খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও বেড়ে ১৬৭-১৭০ টাকায় পৌঁছেছে। দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৩৫ টাকা।

এছাড়া, খোলা পাম তেলের দাম বেড়ে ১৫৬ টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল ১৫০ টাকা। পাম অয়েল সুপার লিটারপ্রতি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৫৪ টাকা। রাইসব্রান তেলের দামও বেড়েছে; প্রতি লিটার বোতলজাত রাইসব্রান তেল এখন ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসুর ডালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও এখন তা ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিনি কিনতে হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। নতুন আলুর সরবরাহ বেড়েছে, তবে পুরাতন আলুর দাম বেড়ে ৭০-৭৫ টাকায় পৌঁছেছে।

রাজধানীর রামপুরা বাজারে ক্রেতারা জানান, সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ রয়েছে, কিন্তু দাম বাড়ছে। মো. আল আমিন বলেন, "বাজারে আসলে বুঝতে পারছি কি কিনব।" নয়াবাজারের মো. শাকিল বলেন, “পণ্যের দাম বাড়ছে কিন্তু আয় বাড়ছে না।”

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আগামীকাল থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সরাসরি ডিম বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।