agribarta

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিতলমারীতে ডায়াবেটিক রোগীর উপযোগী ধান উৎপাদন


কৃষি

কালের কণ্ঠ

(৪ দিন আগে) ২১ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

agribarta

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযোগী বিশেষ ধান উৎপাদন করা হয়েছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়। কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসের জমিতে এই ধান উৎপাদিত হয়েছে। নতুন জাতের এই ধানের নাম ব্রি ধান-১০৫। বিষয়টা এলাকায় সাড়া ফেলেছে।

এবারই প্রথম চিতলমারীর ৩৩ শতক জমিতে নতুন জাতের এই ধান চাষ হয় বলে উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, গোপালগঞ্জ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানী সৃজন চন্দ্র দাস ও ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চিতলমারীর সহযোগিতায় কৃষক বিধান চন্দ্র এই ধান সফলভাবে উৎপাদন করেন।

চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ বলেন, ‘এই ধানের জিআই মান কম, অর্থাৎ ৫৫ হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই ধানের চাল উপযোগী। যে খাবারে জিআই যত বেশি থাকে সেই খাবার খাওয়ার পর তত দ্রুত ভেঙে রক্তে মিশে যায়।

ফলে ওই সব খাবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ ধানের চালে জিআই থাকে ৬৬ মাত্রায়।’

সিফাত আল মারুফ আরো জানান, এবারই প্রথম চিতলমারী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বড়বাক গ্রামের কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসের ৩৩ শতক জমিতে নতুন জাতের এই ব্রিধান-১০৫ চাষ হয়। বৃহস্পতিবার ধানের নমুনা কর্তন শেষে দেখা যায়, ২০ বর্গমিটার জমিতে ১৪.৯ কেজি ফলন (কাঁচা) উৎপাদিত হয়েছে।

যার শুকনা ওজন হবে ১৩.১৬ কেজি। এই হিসাবে হেক্টরপ্রতি এই ধানের ফলন হয়েছে ৬.৫৮ মেট্রিক টন। পরীক্ষামূলক এই চাষে কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাস সফল হয়েছেন। আগামী দিনে আরো চাষিদের এই ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে। চাষিরা বেশি এই ধান আবাদ করলে ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিষেধকে সহায়তা হবে।

কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নতুন ধরনের এই ধান-বীজ পেয়ে তিনি চাষে অনেক বেশি যত্নশীল ছিলেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ব্রি ধান-১০৫-এর বীজসহ পরামর্শ পান। এখন বিশেষ এই ধান কোন বাজারে কেমন দামে বিক্রি হবে সেটা নিয়ে তিনি ভাবছেন।