শীতের আগমন বার্তা নিয়ে এসেছে হিমেল বাতাস। এই সময়টাতে সুন্দরবনে বাঘ দেখার জন্য মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। প্রতিবছরের মতো এবারও শুরু হয়েছে বাঘ শুমারির কার্যক্রম। এজন্য সুন্দরবনের জঙ্গলে বসানো হবে ক্যামেরা। বাঘের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের জন্য ৪৫ দিন ধরে এই ট্র্যাপ ক্যামেরা স্থাপন থাকবে।
ডিসেম্বর মাসে প্রতি শুক্রবার সুন্দরবনের জঙ্গল পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে। এবার ৩০ দিনের পরিবর্তে ৪৫ দিন ধরে চলবে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের কাজ, যাতে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা যায়। বন দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, ৪,১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ১,৪৪৪টি ক্যামেরা বসানো হবে, যা বাঘের গতিবিধি নজরদারি করবে।
১লা ডিসেম্বর থেকে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীনে জঙ্গলটি পর্যটকদের জন্য মঙ্গলবারের পরিবর্তে শুক্রবার বন্ধ থাকবে। সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “জঙ্গলের একটি বড় অংশ ক্যামেরায় ঢেকে ফেলা হবে যাতে বেশি সংখ্যক বাঘের ছবি ধরা পড়ে।” উদাহরণস্বরূপ, তিনি বলেন, “যদি কোনো বাঘ ক্যামেরা বসানো স্থানে ৩০ দিন না আসে, তবে পরে এসে তার ছবি ধরা পড়বে।”
৪৫ দিন পুরোপুরি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে বন দপ্তরের কর্মকর্তাদের। বাঘ ছাড়াও মেছো বিড়াল ও বুনো শুকরসহ অন্যান্য প্রাণীর ছবিও ক্যামেরায় ধরা পড়বে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা আঞ্চলিক বনবিভাগ এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন একসঙ্গে এই শুমারির কাজ হবে। সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করার জন্য বনকর্মীদের ক্যামেরা বসানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
২১শে নভেম্বর থেকে জঙ্গলে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে এবং ২৬শে নভেম্বরের মধ্যে তা শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ছবি তোলার কাজ চলবে। তবে এবার ছোট ছোট এলাকা ধরে ক্যামেরা বসানো হবে কি না, সে বিষয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। গতবারের শুমারিতে বাঘেদের খুনসুটি ও শাবকদের নিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছিল; এবারও অনেক অজানা তথ্য উঠে আসার আশা করা হচ্ছে।