সাত মাসে ৫০০ কোটি টাকার বেশি চাল আমদানি

কৃষি অর্থনীতি/
এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১ বছর আগে) ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

agribarta

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৫০০ কোটি টাকার বেশি চাল আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। আমদানীকৃত চালের মধ্যে রয়েছে মিনিকেট, নাজিরশাইল, স্বর্ণা, রত্না ও জামাইবাবু।

ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশীয় বাজারে চালের চাহিদা বেশি থাকায় আমদানি বেড়েছে। এলসি ও ডলার সংকট না থাকলে আমদানি আরো বাড়ার সম্ভাবনা ছিল।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৪০৫ টন, যার আমদানি মূল্য ৫০১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে গত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এ বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৮৫ হাজার ৩১২ টন চাল, যার আমদানি মূল্য ছিল ২৯৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আমদানীকৃত এসব চাল থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। পরিমাণের দিক থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে চাল আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৩৯ হাজার ৯৩ টন।

ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নওগাঁ জেলার মেসার্স সোনালী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কমল কুমার খৈথা জানিয়েছেন, বন্দর দিয়ে প্রতি মাসে ৮০০-১০০০ টন চাল আমদানি করে তার প্রতিষ্ঠান। জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৫ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানি করেছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি। তবে সম্প্রতি চাল আমদানি কিছুটা কমেছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এলসি জটিলতার পাশাপাশি ডলার সংকটের জন্য আমদানি করতে সমস্যা হচ্ছে। দেশীয় বাজারে চালের যে চাহিদা রয়েছে, তাতে এলসি ও ডলার সংকট না থাকলে আমদানি আরো অনেক বেশি বাড়ত। সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী জাহিদ হেসেন জানান, তার আড়তে দেশীয় চালের পাশাপাশি আমদানীকৃত চালও উল্লেখযোগ্য হারে বিক্রি হয়। এসব চালের মধ্যে মিনিকেট প্রতি কেজি ৬৭-৬৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭২-৭৪ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা ও রত্না চাল ৪৬-৪৭ দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় চালের তুলনায় আমদানীকৃত চালের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা কম। ফলে বাজারে এসব চালের চাহিদা বেশি।

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু জানান, দেশের বড় বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি করে। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাংকে এলসি জটিলতার কারণে ব্যবসায়ীরা চাহিদামাফিক আমদানি করতে পারছেন না। তার পরও গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে চাল আমদানি বেড়েছে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বেড়েছে। বাজারের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা আমদানি বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।