ঢাকা, ৬ মে ২০২৪, সোমবার

‘বিপদজ্জনক কীটনাশকের বিকল্প জৈবিক কীটনাশক’



ক্যাম্পাস

মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর, বাকৃবি প্রতিনিধি

(২ সপ্তাহ আগে) ২২ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

agribarta

২০২২ সালে সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই অধিক বিপদজ্জনক কীটনাশক যার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিস্থাপক হিসেবে জৈবিক কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এতে মানুষের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

ময়মনসিংহে ‘বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক কীটনাশক এবং রাসায়নিকের উন্নত ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল দাস। রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল দশটায় ময়মনসিংহ সদরের খামারবাড়ির প্রশিক্ষণ কক্ষে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার কৃষি অফিসার ও কৃষকদের নিয়ে কর্মশালাটি আয়োজিত হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অর্থায়নে কর্মশালাটির আয়োজন করে বাকৃবির কীটতত্ত্ব বিভাগ।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. গোপাল আরও বলেন, রাসায়নিক কীটনাশক বিপণন ও ব্যবহারের সাথে জড়িতদের অধিকাংশই এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানেন না। কিছু কিছু কীটনাশকের ব্যবহার করার অনুমতি না থাকলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে এবং কৃষক ব্যবহার করছেন। দেশের সার্বিক স্বার্থে কীটনাশক ব্যবহারের নিয়মাবলী ও নিষিদ্ধ কীটনাশক সম্পর্কে সকল কৃষক ও বিপননকর্মীসহ কৃষি অফিসারদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি জৈবিক কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধিতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সালমা আক্তার, উপপরিচালক ড. নাছরিন আক্তার বানুসহ ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০জন কৃষি অফিসার। অনুষ্ঠানের শুরুতে খামারবাড়ির সামনে থেকে কৃষক ও কৃষি অফিসারদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক র‍্যালি বের করা হয়।

এসময় ড. নাছরিন আক্তার বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায়ে অনেক ক্ষতিকর কীটনাশক ও অন্যান্য সার অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। যা আমাদের জলজ ও অন্যান্য জীব বৈচিত্রে প্রবেশ করে বিষাক্ত করে তুলে। পরবর্তীতে খাবার হিসেবে তা মানবশরীরেও উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। তাই আমাদের এই কীটনাশক ব্যবহারের সঠিন জ্ঞান লাভ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিরাপদ উন্নতির দ্বিতীয় লক্ষ্যমাত্রাটি অর্জন করতে সবাইকে সচেষ্ট হয়ে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে এনায়েত উল্লাহ বলেন, কীটনাশক মূলত আবিষ্কার হয়েছিল কৃষির উন্নতি সাধনের জন্যই। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার আজ আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার পরিবেশের প্রায় সবগুলো সেক্টরেই এই ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে। আজ আমাদের বায়ুমন্ডল ও জলজ ভূমিতে বিভিন্ন ভারো ধাতু পাওয়া যাছে। আমরা এখনই সচেতন হতে না পারলে একসময় আমরা খুব বড় একটি বিপদে পড়ে যাবো। তাই আমাদের কীটনাশকের সঠিক পরিমাণ ও সময় নির্বাচন করে আমাদের কৃষকদের জানাতে হবে। এতে আমাদের পরিবেশ তার পুরনো রূপ ফিরে পেতে পারে।

ক্যাম্পাস থেকে আরও পড়ুন

সর্বশেষ