agribarta

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে তীব্র তাপদাহে আমের গুটি হলুদ হয়ে ঝড়ে যাচ্ছে


কৃষি

বাসস

(১ দিন আগে) ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন

agribarta

জয়পুরহাট জেলার আমের গাছ গুলোতে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ব্যাপক হারে আমের গুটি আসলেও তীব্র তাপদাহের কারণে হলুদ বর্ণ ধারণ করার পাশাপাশি ঝড়ে যাচ্ছে। 

ফলে চলতি  মৌসুমে আমের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলার  কৃষকরা। ছোট ছোট গুটি গুলোকে রক্ষায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আম গাছের গোড়ায় পানি সেচসহ  গাছে শুধু পানি স্প্রে করতে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আমের জন্য এ জেলা তেমন  বিখ্যাত না হলেও স্থানীয় জাতের ’নাক ফজলী, আম্রপালি, গোপালভোগ আম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইতোমধ্যে। জেলায় চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১ হাজার ৫ শ ৬০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। এতে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন। 

এ ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে পাঁচ শতাধিক ছোট ছোট আমের বাগানও রয়েছে। স্থানীয় জাতের মধ্যে নাক-ফজলী, সুবর্ণরেখা, সুরমাফজলী, ক্ষিরশাপাত, আম্রপালি, আশ্বিনা, গোপালভোগ, নেংড়া আম বেশ জনপ্রিয়।

স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জনপ্রিয়  নাক-ফজলী আম কিছুটা লম্বাটে দেখতে অনেকটা নাকের মতো আকৃতির তাই এর নাম নাক ফজলি। এ আমের মধ্যে বিচি থাকে ছোট। খেতে বেশ সুস্বাদু এবং গন্ধময় অল্প দিনের মধ্যে আমটি শেষ হয়ে যায়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করলেও সেই আশা এখন অনেকটা গুড়ে বালি। 

জয়পুরহাটের আমের গাছগুলোতে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ব্যাপক হারে আমের গুটি আসলেও তীব্র তাপদাহের কারণে হলুদ বর্ণ ধারণ করার পাশাপাশি ঝড়ে যাচ্ছে। ফলে চলতি মৌসুমে আমের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার কৃষকরা। ছোট ছোট গুটিগুলোকে রক্ষায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আম গাছের গোড়ায় পানি সেচসহ  গাছে শুধু পানি স্প্রে করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান, জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।