বাংলাদেশে আসন্ন বোরো মৌসুমে সারের ঘাটতির কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ দেশে সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে ৬.৮১ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ১.২৫ লক্ষ মেট্রিক টন ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি), ২.২৮ লক্ষ মেট্রিক টন ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) এবং ২.৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন মিউরেট অফ পটাশ (এমওপি) মজুদ আছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সাল ইমাম বলেন, "আমাদের পর্যাপ্ত সারের মজুদ থাকায় আমরা বোরো মৌসুমে সার সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন নই।" তিনি উল্লেখ করেন যে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অধীনে বাফার স্টক গোডাউন ও ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে।
মার্চ মাস পর্যন্ত রবি মৌসুমে ইউরিয়া এবং নন-ইউরিয়া সারের মোট চাহিদা ১৬,৪৮,৭০১ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে টিএসপি ৪,৬৬,২৭৯ মেট্রিক টন, ডিএপি ৯,৬৮,৭৭৭ মেট্রিক টন এবং এমওপি ৫,৫৬,৮৪৬ মেট্রিক টন।

ডিএই উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, বিসিআইসি ও বিএডিসি পরিচালিত বাফার গোডাউনে সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছরের সামগ্রিক ও মৌসুমি সারের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনসহ (বিসিআইসি) বেসরকারি ও সরকারি খাতের আমদানিকারকরা ধারাবাহিকভাবে সার আমদানি করছে।

বিসিআইসি স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে এবং বাকি ১৫ লাখ মেট্রিক টন সার চট্টগ্রামভিত্তিক যৌথ উদ্যোগের বহুজাতিক কোম্পানি কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি বা কাফকো উৎপাদন করবে।

এদিকে সরকার চলতি মৌসুমে ৫০ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে ২ কোটি ২৬ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।