ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার

মিল্কভিটার গো-চারণ ভূমিতে ঘাসের বদলে শসা চাষ!



প্রাণীসম্পদ

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১ মাস আগে) ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

agribarta

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় মিল্কভিটার গো-চারণ ভূমির প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে ঘাসের পরিবর্তে শসার চাষ শুরু হয়েছে, যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, স্থানীয় দুগ্ধ খামার সমিতির কিছু সদস্য ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত এই জমি ইজারা নিয়ে কৃষকরা শসা চাষ করছেন।

কায়েমপুর ইউনিয়নের বৃ-আঙ্গারু এলাকায় এই ঘটনা ঘটছে, যেখানে শসা চাষিরা লাভবান হলেও গো-চারণ ভূমি কমে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন খামারিরা। বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন যে, মাঠে গিয়ে বিষয়টি দেখার সুযোগ নেই, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় কৃষক জাবেদ সরকার বলেন, "আমরা টাকার বিনিময়ে জমি নিয়ে শসা চাষ করছি। যারা ইজারা দিয়েছে তারা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।" অন্য এক শসা চাষি জাহাঙ্গীর আলম জানান, মিল্কভিটার আওতাধীন গো-চারণ ভূমির প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে শসা চাষ হচ্ছে এবং সবাই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এসব জমি ইজারা নিয়েছেন।

এদিকে, দক্ষিণ বাঙ্গালপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মো. লতিফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "কোনো শসা চাষিকে গো-চারণ ভূমি ইজারা দেওয়া হয়নি।" মিল্কভিটার গো-চারণ ভূমিতে শসার চাষ হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) লিটুস লরেন্স চিরাং বলেন, "সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া চারণ ভূমিতে অন্য ফসল আবাদের কোনো সুযোগ নেই।" তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় এক হাজার ১৭৯ দশমিক ৮৩ একর সিএস খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমি রয়েছে। তৎকালীন জমিদারদের দখলে থাকা এই জমিগুলো পরে সরকারের নামে এসএ খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। ১৯৮২ সালে এক হাজার ৩০ একর খাস জমি গেজেট আকারে গো-চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহারের জন্য মিল্কভিটার অনুকূলে ইজারা দেওয়া হয়।

এই গো-চারণ ভূমি গবাদি পশুর লালনপালন এবং দুধের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।