
জরুরি প্রাণিসেবা চালু রাখার অফিস আদেশ জারি হলো গতকাল ও আজ কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সেবা বন্ধ নেই- প্রাণিসেবা বন্ধ করা যায়না! যদিও কোন উপজেলায় প্রাণি হাসপাতাল ই নেই। যদিও মানুষ পশু হাসপাতাল বলেই চিনে কিন্তু রাষ্ট্র কখনো বুঝতে চায়নি পশু হাসপাতাল প্রতিষ্টা করার প্রয়োজনীয়তা।
করোনা পরিস্থিতি চলে গেলেও জরুরি সেবার প্রয়োজন থাকবে কেননা রোগ ব্যাধি কখনো শুক্র শনি মানেনা, অফিস সময় মানবেনা কিন্তু আবারো চলবে এক জন ভেটেরিনারি ডাক্তার দিয়ে একটি উপজেলার কয়েক লক্ষ পশু পাখির চিকিৎসা সেবা, সম্প্রসারণ ও রেগুলেশনের কাজ। খামারিদের হাহাকার কি পৌছাবে সিদ্ধান্ত গ্রহনে সক্ষম নীতিনির্ধারকদের নিকটে?
এখনো রাত বিরাতে ডেলিভারি কেইসে ছুটে যেতে হয়, যদিও পরিবহনের কোন ব্যবস্থা নেই। মৃত্যু শয্যায় শায়িত গাভীকে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করে তুলতে হয়! যদিও নিজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। আমরা থেমে যায়নি, আমাদের এখনো খামারে যেতেই হয়, চিকিৎসা সেবা দিতেই হয়, ভ্যাক্সিনেশন করতেই হয়, প্রশাসনকে সহায়তায় যেতেই হয়। আমরা থেমে যাইনি, আমরা থেমে গেলে থেমে যাবে লাখো খামারির বেঁচে থাকার অবলম্বন, কোটি মানুষের পুষ্টি সরবরাহ।
জীবনের ঝুকি নিয়েই প্রাণিসম্পদের যোদ্ধারা কাজ করে যাচ্ছে, যদিও স্বীকৃতি জোটেনি কোনদিন। বর্তমান কোভিড ১৯ (করোনা) এর কারনে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জনগনের পুষ্টি চাহিদা পূরনের বিষয়টি সামনে চলে আসায় চির অবহেলিত প্রাণিসম্পদ অধিদদপ্তরের প্রয়োজন আরো দৃশ্যমান হচ্ছে। চিকিৎসা ও প্রশাসনিক সেবার মতোই খাদ্য সরবরাহ সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ যোদ্ধাগন। ইতিমধ্যে করোনার আক্রমনের স্বীকার হয়েছেন ইউএলও ভৈরব মহোদয়!
অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ায় যেমন দুধ ডিম মাংস উৎপাদকগণ মহা বিপাকে পড়েছেন, তেমনি উৎপাদন ও তৎসংশ্লিষ্ট সকল সেবা চালিয়ে রাখাটা চ্যালেন্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু প্রানি তাই ক্লিনিকাল সার্ভিসও বন্ধ করা যাচ্ছেনা, সাথে সাথে কৃত্রিম প্রজনন, টিকাদান সহ সম্প্রসারণ কার্যক্রম চালু রাখতে হচ্ছে।
রাষ্ট্র স্বীকার করুক আর না করুক এই সেক্টরকে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। অথচ কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদদপ্তরের সেবাকে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত করা হয়নি। হ্যা, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হুকুম মেনে কাজ করে যাচ্ছি, যাবো কিন্তু মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি প্রাণিসম্পদ বিভাগকে অফিসিয়ালি জরুরি সেবার আওতাভুক্ত করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও লোকবল নিশ্চিত করে জনগনের সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য।