
করোনা মহামারীতে ডিম, মুরগি খাওয়া যাবে কি না তা জানতে ডিম, মুরগি কিভাবে উৎপাদন করা হয় তা জানা দরকার। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর একজন অধ্যাপক ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বিগত ৮ই এপ্রিলে ২০২০ই তারিখে ৭১ টিভি কে দেওয়া সাক্ষ্যাতকারে বলেন করোনা গোত্রের ৪টি জেনাস আছে যেমনঃ আলফা, বিটা, গামা ও ডেলটা। মানুষ আক্রান্ত হয় আলফা, বিটা গোত্রের জেনাস দ্বারা কিন্তু মুরগি আক্রান্ত হয় গামা গোত্রের জেনাস দ্বারা। তাই বলা যায় মানুষ ডিম বা মুরগি খেলে কোন ভাবেই আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নাই। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে আমি খাইলেও বাচ্চদের খাওয়ানো কতাটা নিরাপদ/স্বাস্থ্যসম্মত ইত্যাদি বিষয়ে পরিষ্কার ধারণার জন্য আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের জানতে হবে ডিম, মুরগি কিভাবে আসলো বা কিভাবে উৎপাদন করা হয়। আমি পোল্ট্রি ফিড নিয়ে গবেষণা করা সহ পোল্ট্রি ফিডের সাপ্লাই চেইনে দীর্ঘ দিন কাজ করার আভিজ্ঞতা থেকে এ বিষয়ে লিখছি।
মহান আল্লাহ রব্বুল আল্-আমিন মায়ের গর্ভে থাকাকালীন খুব ভালোভাবে আমাদের খাবার ব্যবস্থা করে থাকেন। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অতীতে, এক সময় মানুষ বনে-জঙ্গলে লতা পাতা, পশু-পাখি খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করত। আস্তে আস্তে সভ্যতার বিবর্তনে মানুষ রান্না করে খাওয়া শিখল। পরবর্তীতে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের অন্বেষণ শুরু করতে লাগল। শুরু হল পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বিজ্ঞানের যুগের পদার্পন। বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলে আজ মানুষ সহজে পুষ্টিচাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। যার ধারাবাহিকতায় গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি ইত্যাদির উন্নত জাত আবিষ্কার করতে লাগল। এক সময় মানুষ এসব পোল্ট্রি তথা হাঁস,মুরগি (ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালি), গরু, ছাগল বসতবাড়িতে লালন-পালন করত। ১৯২৩ সালে আমেরিকায় সর্ব প্রথম পোল্ট্রি ধারণাটির সূত্রপাত হয়। বাংলাদেশে ধারণাটির উদ্ভব হয় ১৯৬০ সালে। ১৯৬৮ সাল হতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ পোল্ট্রি বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। দেশে বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার, লেয়ার শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ৮০ এর দশকে। যা পরবর্তীতে ৯০ এর দশকে গতিশীলতা লাভ করে। বিশ্বে অনেক দেশ পোল্ট্রি উৎপাদনকারী, যেমন: ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া।
বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। মানসম্মত পুষ্টি চাহিদা পূরণে আমাদের প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানুষের খাদ্যের মূল উপাদন সমূহের মধ্যে আমিষ অন্যতম। তারমধ্যে প্রাণিজ আমিষ বিশেষ ভূমিকার দাবিদার এবং এই প্রাণিজ আমিষের প্রধানতম উৎস পোল্ট্রি ডিম ও মাংস যা সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী। বিজ্ঞানের আবিষ্কার ও সরকারের বিভিন্ন উদ্যেগে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
লাগসই উন্নয়ন অর্জনের স্বার্থে সরকার এবং জাতিসংঘ বেশকিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-ক্ষুধা, দারিদ্র ও বেকারত্ব নিরসন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি। বলাবাহুল্য এ লক্ষ্য অর্জনে পোল্ট্রি শিল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের লক্ষ্যে ঘোষিত জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) এর ১৭ টি লক্ষ্যের মধ্যে দ্বিতীয় লক্ষ্যটি সরাসরি এবং সর্বমোট প্রায় ১৪টি লক্ষ্যের সাথে কোন না কোনভাবে পোল্ট্রি সেক্টরের সম্পৃক্ততা রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পোল্ট্রি খাত উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলছে। বর্তমানে জিডিপিতে পোল্ট্রি শিল্পের অবদান ২ শতাংশের ওপরে। এখাতে ৩০ হাজার কোটি টাকারও অধিক বিনিয়োগ হয়েছে। বার্ষিক টার্নওভার ৩৫-৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩০ লাখ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে যার প্রায় ৪০ শতাংশই নারী। পোল্ট্রির মাধ্যমে গ্রামীণ পর্যায়ে শিক্ষিত ও বেকার যুবক এবং নারীদের কাজের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার কারণে গ্রাম থেকে শহরমুখী মানুষের জনস্রোত কিছুটা হলেও কমেছে। যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে এবং আবাদি জমি কমেছে তাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হলে, প্রয়োজন হবে ভার্টিক্যাল ইন্ট্রিগ্রেশন- যা পোল্ট্রি শিল্পে সম্ভব।
বিগত বছরগুলোতে পুষ্টি ঘাটতি পূরণে পোল্ট্রির চাহিদা এবং এর ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমেই বেড়েছে। হাউসহোল্ড ইনকাম এন্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্বের বছরের তুলনায় ২০১৬ সালে বাংলাদেশে দৈনিক মাথাপিছু ফুড কনজাম্পশন কমলেও বেড়েছে মুরগির মাংস ও ডিমের কনজাম্পশন। পূর্বে যেখানে দৈনিক মাথাপিছু ফুড কনজাম্পশন ছিল ১০০৫ গ্রাম, ২০১৬ সালে তা কমে হয়েছে ৯৭৪ গ্রাম। অন্যদিকে মুরগির মাথাপিছু কনজাম্পশন ১১.২২ গ্রাম থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭.৩৩ গ্রাম। ডিমের কনজাম্পশন ৭.২ গ্রাম থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩.৫৮ গ্রাম। প্রানিজ আমিষের অপরাপর উৎসগুলোর চেয়েও পোল্ট্রির কনজাম্পশনে প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মত। যেখানে গরুর গোশতের কনজাম্পশন ১০% এবং মাছের ২৬% বেড়েছে, সেখানে পোল্ট্রির মাংস ও ডিমের কনজাম্পশন বেড়েছে যথাক্রমে ৫৪% এবং ৮৮%। আগামীতে সন্দেহাতীতভাবেই এ পরিমান আরও বাড়বে। এহেন গুরুত্বর্পূণ শিল্পে গ্রোথ প্রমোটার ও মুরগিতে এন্টিবায়োটিক (এজিপি) এর ব্যবহারের ভীতি ডিম, মুরগির দামের পতনে নাস্তানাবুত; তদুপরি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীনও হতে হচ্ছে।
মানসম্পন্ন ডিম ও মাংস উৎপাদন এখন কতটা সম্ভব? আমাদের জানতে হবে উৎপাদনের পাশাপাশি এ সকল খাদ্য কতটা নিরাপদ? আর নিরাপদ না হলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মানুষ এক সময় বাড়ির আঙ্গিনায় হাঁস-মুরগি লালন-পালন ও উৎপাদন করত। পরে যখন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করতে লাগল তখন অসুস্থ প্রতিযোগীতার কারণে কত কম সময়ে উৎপাদন করা যায় সেদিকে মনোযোগী হল।
শুরু হল পোল্ট্রি ফিডে গ্রোথ প্রমোটার ও মুরগিতে এন্টিবায়োটিক (এজিপি) এর ব্যবহার। গ্রোথ প্রমোটার বলতে বুঝায় যা মুরগি বা ডিমের উৎপাদন স্বল্প সময়ে বৃদ্ধি করে যার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু পোল্ট্রিসহ প্রাণিখাদ্যে অতীতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহৃত হয়ে আসছিল যা বর্তমানে সম্পূর্ণ্রুপে নিষিদ্ধ রয়েছে। এখন আমাদের জানতে হবে বাজারে কোন ডিম ও মুরগিতে এন্টিবায়োটিক, পোল্ট্রি ফিডে গ্রোথ প্রমোটারের (এজিপি) ব্যবহার হয়েছে তা কিভাবে বুঝব বা এ ধরনের ডিম ও মুরগি খাওয়া যাবে কি না? সাধারণত মুরগির অসুখ হলে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং মুরগির খাদ্য উৎপাদন এর সময় গ্রোথ প্রমোটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের একটা সময় (৫-৭ দিন) পর মুরগি খাওয়া নিরাপদ। বাজারে মুরগির কেনার সময় সুস্থ্য মুরগির কিনতে হবে। এছাড়াও রান্নার সময় এন্টিবায়োটিক কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে থাকে বলে অনেক বিষজ্ঞ মত দেন। উল্লেখ্য যে, খামারি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ১দিন পর বিক্রয় করলেও তা বিভিন্ন হাত ঘুরে (খামারি-পাইকার-খুচরা বিক্রেতা-ভোক্তা) ভোক্তা পর্যন্ত আসতে ২-৩ দিন সময় লেগে যায়। যার ফলে মুরগিতে ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং বলা যায়, বাজারে যে সমস্ত ডিম ও মুরগি পাওয়া যায়, তা অনেকাংশেই ঝুকিমুক্ত তবে দেড় কেজি থেকে দুই কেজির উপরের মুরগি খেলে কোন ক্ষতিকর প্রভাব আছে বলে মনে হয় না।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পোল্ট্রি ফিডে গ্রোথ প্রমোটার ব্যবহার করে থাকে। আমাদের জানতে হবে কারা বা কে? আমাদের দেশে মাসে প্রায় ৪৫০টি ফিড মিল মিলে সাড়ে চার লাখের বেশী ফিড উৎপাদন করে থাকে। যার ৭০ ভাগ করে দেশী বিদেশী ১০ টি উন্নত মানের কোম্পানি, ২৫ ভাগ করে মধ্যম সারির কোম্পানি এবং ৫ ভাগ করে ছোট ছোট ফিড মিল। বড় বড় ফিড মিল গুলো গুনগত ফিড উৎপাদন করছে, জানা মতে তারা গ্রোথ প্রমোটার ব্যবহার করে না বললেই চলে। মধ্যম সারির কোম্পানি গুলোর মধ্যে দুই একটিতে গ্রোথ প্রমোটার ব্যবহারের কথা শোনা গেলেও আশার কথা যে, বর্তমানে গ্রোথ প্রমোটার আমদানি নিষিদ্ধ করায়, তা এখন ব্যবহার হয় না বললেই চলে।
ক্ষতিকারক উপকরণ ও এন্টিবায়োটিক মুক্ত পোল্ট্রি ফিড, ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদনে দেশীয় পোল্ট্রি শিল্প ইতোমধ্যেই বেশ খানিকটা সফলতা অর্জন করেছে। দেশে এখন নিরাপদ ফিড উৎপাদিত হচ্ছে-কারণ বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার পোল্ট্রি ফিডে এন্টিবায়োটিক গ্রোথ প্রমোটারের (এজিপি) ব্যবহার নিষিদ্ধ করে রেখেছেন। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ভ্রাম্যমান আদালতের সহযোগিতায় অবৈধ এবং নিম্নমানের পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদনকারি বেশকিছু কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সরকারের নজরদারী সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলোর কার্যকরী উদ্যোগ, ভোক্তা সাধারণের সচেতনতায় ফিডে হেভি মেটালের সমস্যা প্রায় শুণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এখন আমাদরে জানতে হবে পোল্ট্রিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল কি কি?
নিরাপদ পোল্ট্রি ফিডে ব্যবহৃত কাঁচামালের (ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস) মধ্যে উল্লেখ যে, প্রধানত ভূট্টা এবং সয়াবিন মিলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করছি এ কারণে যে পোল্ট্রি ফিডের প্রায় ৫৫-৬০ ভাগই হচ্ছে ভূট্টা এবং ২০-২৫ শতাংশ সয়াবিন মিল। ফিড এডিটিভস যেমন- ভেজিটেবল প্রোটিন হিসেবে ব্যবহৃত ডিডিজিএস, লাইমস্টোন, লাইসিন, ফিসমিল, ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট, এল-থ্রিওনিন, এল-মিথিওনিন, ফুল ফ্যাট সয়া, মন ক্যালসিয়াম ফসফেট, কলিন ক্লোরাইড, এনজাইম, সোডিয়াম বাই কার্বনেট, সয়া প্রোটিন কনসেন্ট্রেট প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উল্লিখিত উপাদানসমূহ ব্যবহার করে উৎপাদিত পোল্ট্রি খাদ্য যথেষ্ট নিরাপদ বলা যায় যা দ্বারা উৎপাদিত ডিম ও মুরগি খেতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই কোন বললেই চলে।
আমরা বিভিন্ন ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি খাই, যে গুলোর উৎপাদন পর্যায়ে অনেক সময় রোগ বালাই দমনে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় কিন্তু আমরা সেগুলো খাই যা জানামতে মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত। কিন্তু কলা উৎপাদনের পরে কার্বাইড, মাছ উৎপাদনের পর ফর্মালিন ইত্যাদি ফলমূল, শাক সবজি সংরক্ষণে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তুলনামূলক ভাবে ডিম, মুরগি উৎপাদনের সময় রোগ বালাই দমনে এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করা হয় যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য কৃষি পণ্যের চেয়েও খুব একটা বেশি না। জানামতে ডিম মুরগি উৎপাদনের পর সংরক্ষণে কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। তাতে বলা যায় উৎপাদনের সময় নিরাপদ পোল্ট্রি খাদ্য ব্যবহারের ফলে উৎপাদিত ডিম ও মুরগিও স্বাস্থ্যসম্মত।
বর্তমান সময়ে নিরাপদ পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগি) সাশ্রয়ী মূল্যে (ক্রমক্ষমতার মধ্যে) উৎপাদন করে ভোক্তদের আস্থা অর্জনকরার মাধ্যমে জাতীয় লক্ষ্য, এসডিজি অর্জন এবং রপ্তানীমূখী শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে এমনটাই প্রত্যাশা ।
লেখকঃ
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো: আজাদুল হক
পোল্ট্রি ফিড বিশেষজ্ঞ
বিএসসিএজি ইকন (অনার্স), এমএস ইন (মার্কেটিং),
পিএইচডি (বাকৃবি), পোস্ট ডক্টরেট (জাপান)
হেড অব মার্কেটিং এন্ড ডিজিএম (সাবেক), বহুজাতিক কোম্পানি নিউ হোপ ফিড
গেস্ট টিচার, আইআইএএসটি ও
বিসনেজ ডিরেক্টর (সাউথ এশিয়া), আন্তর্জাতিক ট্রেড ডিপার্টমেন্ট, জীংহে