www.agribarta.com:: কৃষকের চোখে বাংলাদেশ
শিরোনাম:

বায়ু দূষণ রোধে আইনের প্রয়োগ ও কার্যকর জবাবদিহিতা


 এগ্রিবার্তা ডেস্কঃ    ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, ১১:১৯   সম্পাদকীয় বিভাগ


প্রেক্ষাপট
বৈশিক পরিমলে পরিবেশ দূষণজনিত বহুমুূখী সঙ্কট একটি অন্যতম আলোচিত বিষয়। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, যা বায়ু দূষণের জন্যও দায়ী, যার ব্যবহার হ্রাস করার মাধ্যমেও পরিবেশকে উন্নত করা যায়। জাতিসংঘের ইন্টার গভার্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রীতে সীমাবদ্ধ করতে হলে কয়লাভিত্তিক সকল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ২০৫০ সালের মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে । এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ মানুষের জন্য সবুজ পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা এবং জীবজগৎ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। ২০১৯ সালের প্রতিপাদ্য ছিলো "বায়ু দুষণ" রোধ।

জাতিসংঘ ঘোষিত ‘‘টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা’’র অভীষ্ট ৩ এর লক্ষমাত্রা ৩.৯ এ বায়ু দূষণ রোধের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো এবং অভীষ্ট ১১ এর লক্ষ্যমাত্রা ১১.৬ এর মাধ্যমে বায়ুর গুণগত মান নিশ্চিত করে নগরসমূহে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনার গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। অভীষ্ট ১৫ নির্ধারণের মাধ্যমে বন উজাড় রোধ করার মাধ্যমে মরুকরণ রোধ করে পরিবেশ রক্ষার উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তন রোধ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট লক্ষ্য-১৩ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, বিশে^র ১৯৭টি শিল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসি) কর্তৃক আয়োজিত কপ২১ সম্মেলনে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্যারিস চুক্তিতে সম্মত হয়, যার মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ু দূষণ রোধসহ প্রকৃতি, পরিবেশ এবং বনভূমি রক্ষাসহ সব ধরনের পরিবেশ বান্ধব অভিযোজন কার্যক্রম ও জ্বালানি ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হলেও বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবেই জনস্বাস্থ্যের জন্য ঘোরতর ঝুঁকি হয়ে দাড়িয়েছে।

বায়ু দূষণের বৈশ্বিক পরিস্থিতি
সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায় যে, বিশ্বের অনেক অংশে বায়ুমানের মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে, বিশেষত নিমন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই চিত্র আশঙ্কাজনক। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকা এবং সচেতনতার অভাব অনিয়ন্ত্রিত বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস করায় বায়ু দূষণ আরো ত্বরান্বিত হচ্ছে।

গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ এর মতে, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে বনভূমির গুরুত্ব থাকলেও বিশ্বব্যাপী বৃক্ষ ও বনজ সম্পদ হ্রাস অব্যাহত। ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বিশ^ব্যাপি ১৮৩ মিলিয়ন হেক্টর বৃক্ষ আচ্ছাদন হ্রাস পায়, যা ১৩.৩ গিগাটন কার্বন নির্গমন রোধে সক্ষম । যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক হেলথ ইফেক্ট ইন্সটিটিউট (এইচইআই) পরিচালিত ‘দ্যা স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার ২০১৯’ গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবন প্রত্যাশা গড়ে ১ বছর ৮ মাস হ্রাস করেছে। উল্লেখ্য, বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ঝুঁকির পঞ্চম প্রধান কারণ এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতিবন্ধিতা, আগাম মৃত্যু, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুস ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং নিউমোনিয়ার মতো সংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ সহ নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্রায় ৯৮ শতাংশ শহর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ু গুণমানের নির্দেশিকা পূরণ করে না।

বায়ু দূষণে বাংলাদেশের অবস্থান
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদে, ‘‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন” উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু,পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের বিস্তৃত আইনি কাঠামো থাকা সত্ত্বেও বিবিধ কারণে বিশেষ করে আইনের যথাযথ প্রয়োগের ঘাটতির কারণে বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ কমছে না, বরং বাড়ছে। এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স (ইপিআই)-২০১৮ অনুযায়ী, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৯তম, অর্থাৎ পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যর্থ দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।

উল্লেখ্র, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক হেলথ ইফেক্ট ইন্সটিটিউট (এইচইআই) পরিচালিত ‘দ্যা স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার ২০১৭’ গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে বায়ু দূষণজনিত কারণে মানুষের মৃত্যু দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ বায়ু দূষণজনিত কারণে প্রতি বছর জিডিপির ১ শতাংশ হারায়, বায়ু দূষণ রোধের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩,৫০০ মানুষের জীবন রক্ষা করা যেতে পারে এবং বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসা খরচ বাবদ বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য টাকা সাশ্রয় হবে এবং মানুষের প্রাণশক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ।

‘বাংলাদেশ পরিবেশ সমীক্ষা-২০১৭’ অনুযায়ী, ‘‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মাত্রার বায়ু দূষণের উৎস ইটভাটা (৩৮%), এছাড়াও পরিবহণ (১৯%) এবং অনিয়ন্ত্রিত অবকাঠামো নির্মাণের ধূলিকণা (১৮%) অন্যতম”। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বনভূমির প্রয়োজন হলেও বাস্তবে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম বনভূমি পরিবেষ্টিত দেশগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে বনভূমির হার মাত্র ৬.৭%। ইতিমধ্যে ভাওয়াল শালবনের প্রায় ৯০ শতাংশ হারিয়ে গেছে। গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ এর প্রতিবেদন মতে, বিগত ২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯৪.৫ কিলোহেক্টর বনভূমি হারিয়েছে বাংলাদেশ যা একটি আশংকাজনক চিত্র। পরিবেশ আইন ১৯৯৫ এর ধারা ৫ এর অধীনে ১৯৯৯ সালে সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্ট সহ বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা বা বাফার জোন ঘোষণা করা হলেও এর সন্নিকটে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে বায়ু দূষণ রোধের অন্যতম নিয়ামক বনগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে, যা কখনোই কাম্য হতে পারেনা। বিশেষ করে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ও অন্যান্য লাল-তালিকা ভূক্ত অসংখ্য শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় বিশ ঐতিহ্য ও বাংলাদেশের চিরলালিত গৌরবময় সম্পদ সুন্দরবন বিরাট হুমকির সম্মুখীন। বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ব্যবস্থার দুর্বলতা ও তার অপপ্রয়োগ, দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বাংলাদেশে বায়ু দূষণ সমস্যার উল্লেখযোগ্য কারণ।

তাই বায়ু দূষণ রোধে নিম্নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি-
১. জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশ নীতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের সাথে সম্পর্কিত সকল আইন ও বিধি-বিধান বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে;
২. Polluters Pay Principle প্রয়োগ করে বায়ু দূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে ক্ষতিপূরণ (‘দূষণ কর’) আদায় করতে হবে;
৩. বায়ু দূষণ রোধে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দূষণ তদারকির টেকসই ব্যবস্থা এবং এক্ষেত্রে নাগরিক তদারকি বিশেষকরে তরুণদের স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ ও দায়ীদের তথ্য সংগ্রহে কাজে লাগানো যেতে পারে;
৪. বায়ু দূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তি/যানবাহন/প্রতিষ্ঠানের তথ্যসমূহ নিয়মিত জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্টদের সরকারি বিভিন্ন সুবিধা যেমন, কর রেয়াত/প্রণোদনা, রেজিস্ট্রেশন নবায়ন হতে বিরত রাখতে হবে;
৫. সুন্দরবনসহ সকল বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়ে বিদ্যমান ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আইন’ কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে জড়িতদের পরিচয় ও অবস্থান নির্বিশেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে;
৬. পরিবেশ রক্ষার অপরিহার্য্য অনুসঙ্গ বন এবং জীববৈচিত্র্যকে রক্ষায় নির্ভরযোগ্য, দক্ষ এবং স্বার্থের দ্বন্দ্ব নয় এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যেকোনো অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে সুন্দরবনের অদূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সহ সব ধরনের ঝুকিপূর্ণ প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন সাপেক্ষে অনুমোদন করতে হবে;
৭. “সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব বাতিলে স্বল্পমেয়াদী আশু পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি ২০২০ সালে বিশ^ ঐতিহ্য সংস্থার ৪৪তম অধিবেশনের আগেই তাদের প্রস্তাবিত প্রয়োজনীয় সমস্ত কার্যক্রম গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সব ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন, প্রসার ও ব্যবহারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
৯. বিশ্বের প্রধান কার্বন নি:সরণকারী দেশ হিসাবে ‘প্যারিস চুক্তি’ বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল শিল্পোন্নত দেশের অঙ্গীকার অব্যাহত রাখতে হবে;
১০. ‘দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান’ নীতি বিবেচনা করে ঋণ নয়, শুধু সরকারি অনুদান, যা উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ প্রতিশ্রুতি হবে, কে স্বীকৃতি দিয়ে ‘প্যারিস চুক্তি’র আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বায়ু দূষণ বিশেষকরে কার্বন নিঃসরণ রোধে প্রশমন বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
১১. জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষনের প্রভাব মোকাবেলায় সকল প্রকার সম্পদ ব্যবহারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

এম. জাকির হোসেন খান
সিনিয়র প্রোগ্রাম মানেজার
ক্লাইমেট ফাইন্যাস গর্ভনেন্স (সিএফজি)
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)
zhkhan@ti-bangaldesh.org




  এ বিভাগের অন্যান্য