
কুমিল্লার মুরাদনগরে কৃষি জমি ক্রমশ চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। গত দুই বছরে প্রায় হাজার একর জমি ইটভাটার জন্য মাটি সরবরাহের কারণে ডোবা হয়ে গেছে। জমির মালিকরা লোভে পড়ে উর্বর মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন।
মুরাদনগরে ৫০টি ইটভাটা রয়েছে, যেখানে বছরে গড়ে ৮০ লাখ ইট তৈরিতে প্রায় ১০ একর জমির মাটি ব্যবহৃত হয়। ফলে দুই বছরে প্রায় এক হাজার একর কৃষি জমির মাটি ব্যবহৃত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, দুই বছর আগে ২৫ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমি ছিল, যা এখন প্রায় এক হাজার হেক্টর কমে গেছে। এতে করে জমির উর্বরতা হারিয়ে যাচ্ছে এবং চাষাবাদ কমে যাচ্ছে।
বাইরা গ্রামের সহিদ মিয়া জানান, "সরকারি অভিযান শুরু হলেও কিছুদিন পর তা থেমে যায়।" দারোরা গ্রামের দিলু মিয়া বলেন, "মাটি বিক্রি না করলে জোরপূর্বক কেটে নেওয়া হয়।" মাটি ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, তারা ন্যায্য মূল্যেই মাটি কেনেন এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান বলেন, "কৃষি জমি রক্ষায় বিশেষ আইন নেই, ফলে সরাসরি বাধা দেওয়া কঠিন।" তিনি আরও জানান, জমির মালিকরা নগদ টাকার লোভে মাটি বিক্রি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, "মাটি কাটা বড় অপরাধ, শ্রেণি পরিবর্তন অনুমতি ছাড়া সম্ভব নয়।" তিনি জনগণের সচেতনতার উপর জোর দেন এবং সবাইকে কৃষিজমি রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।