ঢাকা, ২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

জলাশয় শুকিয়ে মাছ নিধনে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ



মৎস্য

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১ মাস আগে) ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

agribarta

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় জলাশয় শুকিয়ে অবাধে মাছ ধরার প্রবণতা বাড়ছে। সরকারি নীতিমালা থাকলেও বাস্তবে তার কোনো প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। উন্মুক্ত জলাশয় ও ইজারা নেওয়া জলমহালগুলোতে নিয়ম লঙ্ঘন করে সেচ দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। এর ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছ, যেমন টেংরা, শিং, মাগুর, কই, পাবদা, শোল, গজারসহ বহু মাছ বিলুপ্তির পথে।

হাওর অঞ্চলের বহু পরিবার জীবিকার জন্য মাছ আহরণ করে থাকে। তবে দেশীয় মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় তারা এখন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, খাল-বিল ও ডোবার পানি সেচে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা চলছে। স্থানীয়রা জানান, এভাবে মাছ ধরা বন্ধে আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন হয় না।

জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, "আগে সেচ দিয়ে মাছ ধরা হতো না। বাজারে দেশীয় মাছ সহজলভ্য ছিল। এখন পানির সঙ্গে মাছও হারিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় মাছ কিনতে বেশি দাম গুনতে হচ্ছে।" সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের আক্তার মিয়া বলেন, "বাজারে এখন শুধু দীঘির মাছ পাওয়া যায়। এগুলোতে স্বাদ নেই। খাল-বিল শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধ না হলে দেশীয় মাছ পুরোপুরি হারিয়ে যাবে।"

জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আল-আমীন জানান, "আইন অনুযায়ী কোনো জলাশয় সম্পূর্ণভাবে সেচে বা বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করেন, তাহলে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারি।"

স্থানীয়রা চাইছেন প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ, যাতে জলাশয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকে এবং দেশীয় মাছ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।

মৎস্য থেকে আরও পড়ুন

সর্বশেষ