
খুলনার দাকোপে আমন ধান খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষি অফিসের ভ্রাম্যমাণ পরামর্শ কেন্দ্র চালু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা থাকবেন। এছাড়া পোকা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
খুলনা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানান গেছে, উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৯ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চফলনশীল জাতের ধান ১৬ হাজার ১৫৫ হেক্টর, স্থানীয় জাত ২ হাজার ৯২৫ এবং হাইব্রিড ১৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ধানখেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগেও সুফল পাচ্ছেন না কৃষক। পাশাপাশি ইঁদুরের উৎপাতও বেড়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, অধিকাংশ খেতে এখন ধানের শীষ বেরিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ধানে পাক ধরেছে। এ অবস্থায় দেখা দিয়েছে কারেন্ট পোকার আক্রমণ। দিনের বেলা যে খেতের ধান ভালো দেখা যাচ্ছে, পরদিন সকালে দেখা যাচ্ছে কিছু অংশের ধান আগুনে পুড়ে যাওয়ার মতো রঙ ধারণ করেছে। কীটনাশক দিয়েও পোকার আক্রমণ কমছে না।
উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগি গ্রামের কৃষক আবু জাফর গাজী জানান, তার সাত বিঘা জমির ধান কারেন্ট পোকায় নষ্ট করে দিয়েছে।
উপজেলার খলিসা এলাকার কৃষক বিমল বিশ্বাস জানান, এ বছর তিনি নয় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমন চাষ করেছেন। কিন্তু প্রায় দুই বিঘার মতো জমির ধান গাছ ইঁদুর কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। ধান গাছে ফলন আসার আগে এখন কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, পোকা দমনে তারা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। মাসব্যাপী উপজেলার প্রতিটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ কৃষি পরামর্শ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। কৃষকদের সহযোগিতার জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন। তাছাড়া পোকা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও উঠান বৈঠকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।