![agribarta](https://agribarta.com/uploads/news/main/182_বাকৃবির নিজস্ব ডিজাইনের কোল্ড স্টোরেজ উদ্বোধন.jpg)
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বিএইউ-এডিআই হরটিকুল কোল্ড স্টোরেজ’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ওয়ার্কশপে বাকৃবির নিজস্ব ডিজাইনকৃত ওই কোল্ড স্টোরেজ এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অর্থায়নে ‘কোল্ড স্টোরেজ সলিউশন ফর রিডিউসিং পোস্ট হারভেস্ট লসেস অব ফ্রুটস এন্ড ভেজিটেবলস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ওই স্টোরেজ ডিজাইন করা হয়। পরবর্তীতে গবেষণা করে এটি আরও উন্নত করা হবে বলে জানান গবেষকেরা।
এর আগে অনুষদীয় ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ‘বিএইউ-এডিআই হরটিকুল কোল্ড স্টোরেজ’ পরিচিতি ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ময়মনসিংহ ও আশেপাশের বিভিন্ন জেলার কৃষি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা বলেন, ‘বিএইউ-এডিআই হরটিকুল কোল্ড স্টোরেজ’ বাংলাদেশে ফল ও শাকসবজির কার্যকরী জীবনকাল এবং গুণমান উন্নত করে। এই কোল্ড স্টোরেজ পরিবেশবান্ধব ডিজাইন যা ফলনোত্তর কৃষি পণ্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করে। এটি সৌর ও গ্রিড বিদ্যুৎ উভয় ভাবেই পরিচালনা করা যায়। এই কোল্ড স্টোরেজ বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ লাইনে চালানো সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সরকার এখন নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এই হাইব্রিড সিস্টেমটি তৈরি করেছি। এটি সোলার, ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিক সংযোগে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় স্বতন্ত্রভাবে চলতে সক্ষম হবে।
এর একটি বিশেষ সুবিধা হলো এটি ২২০ ভোল্টেজের একক লাইনে চলবে। আরেকটি সুবিধা হলো এটি সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সেন্সর সংযুক্ত করে এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য করা হয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে এটি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। প্রাথমিক খরচ বেশি হলেও পরবর্তীতে তেমন আর খরচ নেই।
এসময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে খাপ খাওয়াতে আমাদের দেশের কৃষি ও কৃষককে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আমাদের দেশের কৃষকেরা খরা, শীত, অতিবৃষ্টি, বন্যার সাথে লড়াই করে অনেক কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করে। কিন্তু সেই ফসল যথাযথ সংরক্ষণের অভাব ও অপচয়ের জন্য বাজারে প্রভাব পড়ে। এজন্য হরটিকুল স্টোরেজ সিস্টেমটা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমি আশা করবো, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে।