ঢাকা, ৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

মাটিহীন চারা উৎপন্ন করে সফল উদ্যোক্তা লুলু



কৃষি ব্যক্তিত্ব

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(২ সপ্তাহ আগে) ১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৮:০৯ অপরাহ্ন

agribarta

মাঠের পর মাঠ জুড়ে সবুজ চারা। উপরে নেটের ছাউনি, চারপাশে জাল দিয়ে ঘেরা। ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়ে সারি সারি প্লাস্টিকের ট্রে। শয্যার নালা কেটে বসানো এসব ট্রেতে বপন করা বীজ থেকে উঁকি দিচ্ছে নানা জাতের সবজির চারা। এমন দৃশ্য গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের কাঠাল লক্ষীপুর মাঠে। এখানেই নেছার সরকার লুলু নামের এক পরিশ্রমী উদ্যোক্তা বাণিজ্যিকভাবে চারা উৎপাদন করে বদলে দিয়েছেন নিজের ভাগ্য।

উদ্যোক্তা লুলুর ‘বাবা-মায়ের দোয়া’ নামের এই নার্সারিতে পাওয়া যায় ব্রকলি, বিটরুট, রঙিন ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, মরিচ, লাউ, চিচিঙ্গা, বরবটিসহ নানা উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই কৃষকরা চারা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন লুলুর নার্সারিতে। তিনি স্মার্ট প্রযুক্তির সাহায্যে মাটি ছাড়াই প্লাস্টিকের ট্রের মধ্যে জৈব সার ব্যবহার করে বীজ বপন করছেন। এই পদ্ধতিতে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম হয়, ফলে উৎপাদিত হয় গুণগত মানসম্পন্ন চারা।

স্থানীয় কৃষক শামীম সরকারসহ অনেকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে লুলুর নার্সারি থেকে চারা কিনে তাঁরা ভালো ফসল পাচ্ছেন। দূর থেকেও কৃষকেরা ফোনে চারা অর্ডার করেন। ফলে এই উদ্যোক্তা কৃষকদের মাঝে আস্থা অর্জন করেছেন। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তিনি বহু মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন।

লুলু বলেন, “কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমে চারা উৎপাদনের এই প্রকল্প তৈরি করেছি। এখান থেকে বছরে লাখ টাকার বেশি মুনাফা আসছে। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতা পেলে নার্সারিটিকে আরও বড় করা যেত। তখন আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো।”

ইদিলপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল আলম বলেন, “লুলু একজন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোক্তা। তিনি যাতে নিরাপদে চারা উৎপাদন করতে পারেন, সে বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব ভট্টাচার্য্য বলেন, “লুলুকে নজরে রাখা হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে সহযোগিতা করা হবে।”

  • the news এর সৌজন্যে

কৃষি ব্যক্তিত্ব থেকে আরও পড়ুন

সর্বশেষ