হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বিষমুক্ত ও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন স্থানীয় উদ্যোক্তা শাহজাহান মিয়া। কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়াই শুধুমাত্র জৈবসার ব্যবহার করে তিনি উৎপাদন করেছেন আকর্ষণীয় হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ। আগাম জাতের এই ফলন ও গুণগত মানের কারণে বাজারে ক্রেতাদের মাঝে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।বানিয়াচ-নবীগঞ্জ সড়কের উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের কালিদাস টেকা নামক স্থানে কয়েক কেদার জমিতে এই তরমুজের আবাদ করেছেন শাহজাহান মিয়া। বানিয়াচং থানার সামনের রাস্তা দিয়ে কালিদাস ব্রিজের কাছে গেলেই চোখে পড়ে এই নয়নাভিরাম তরমুজ খেত। সাধারণত তরমুজ গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও, শাহজাহান মিয়ার এই আগাম ফলন সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিন।
যায়যায়দিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে বানিয়াচং বড়বাজার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে নিজের ফলানো এই বিশেষ তরমুজ নিয়ে হাজির হন তিনি। বাজারে আসা তরমুজগুলোর ওজন ১ কেজি ৮০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত দেখা গেছে। কালো তরমুজ ১০০ টাকা (প্রতি পিস) হলুদ তরমুজ ১২০ টাকা (প্রতি পিস)। উদ্যোক্তা শাহজাহান মিয়া জানান, বর্তমান সময়ে ফরমালিন ও রাসায়নিকযুক্ত খাবারের ভিড়ে মানুষকে নিরাপদ ও সুস্বাদু ফল উপহার দেওয়াই ছিল তার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন,আমার চাষ করা এই তরমুজ সম্পূর্ণ ফরমালিন মুক্ত, অত্যন্ত মিষ্টি ও নিরাপদ। আজ মূলত গ্রাহকদের চাহিদা বোঝার জন্য অল্প কিছু ফল বাজারে এনেছি। প্রচার কম হলেও মানুষের সাড়া বেশ ভালো। যেসব ক্রেতার বেশি পরিমাণে তরমুজ প্রয়োজন, তাদের জন্য শাহজাহান মিয়া বিশেষ সুযোগ রেখেছেন। আগ্রহী ক্রেতারা সরাসরি কালিদাস টেকা এলাকায় তার জমিতে গিয়ে নিজের হাতে দেখে শুনে তরমুজ সংগ্রহ করতে পারবেন। বানিয়াচংয়ে প্রথমবারের মতো এমন ব্যতিক্রমী ও স্বাস্থ্যসম্মত তরমুজ চাষ স্থানীয় কৃষকদের জন্য এক নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে,শাহজাহান মিয়ার। এই সাফল্য দেখে অনেক তরুণ এখন আধুনিক ও বিষমুক্ত কৃষি উদ্যোগে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
