ঢাকা, ২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

মজিবরের টার্গেট: ৩০ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি



ক্যারিয়ার

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(৪ মাস আগে) ২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

agribarta

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার চামারখাই গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান প্রবাস জীবনে সফলতা না পেলেও কৃষিতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। ২২ বছর আগে ৫ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ শুরু করেন তিনি। প্রথমদিকে লাভ কম হলেও তিনি হাল ছাড়েননি। ফুলকপি ও অন্যান্য সবজি চাষের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। কঠোর পরিশ্রম ও ঝুঁকি নিয়ে কৃষিকাজে সফল হয়েছেন।

মানিকগঞ্জের কৃষকদের সবজি চাষে সুনাম রয়েছে। এখানে অনুকূল আবহাওয়া ও ভালো পরিচর্যায় সবজির ফলনও সন্তোষজনক হয়। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় জেলার উৎপাদিত সবজির চাহিদা রয়েছে। এতে করে ফুলকপি চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন এবং আগাম জাতের ফুলকপির আবাদ দিন দিন বাড়ছে।

জেলার সাতটি উপজেলায় সবজি চাষ হলেও সিংগাইর, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদরে সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয়। কৃষকেরা শীতকালীন আগাম সবজি চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন, কারণ এতে খরচ কম এবং লাভ বেশি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুকুরহাটি ইউনিয়নের চামারখাই গ্রামে কৃষকেরা ভোর থেকে সবজি ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ ফুলকপি কেটে আবার কেউ করলা ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত রবি মৌসুমে ৯ হাজার ৩৯২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ হয়েছিল, আর এবছর ৯ হাজার ৩৮২ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।

আগাম ফুলকপি আবাদের বিষয়ে মজিবর রহমান জানান, তিনি চলতি রবি মৌসুমে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। বর্তমানে ১৮ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করছেন এবং ভবিষ্যতে ৩০ বিঘা জমিতে চাষ করার পরিকল্পনা করছেন।

মজিবর বলেন, “ফুলকপির জন্য বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে ৪০ হাজার টাকা। মোট খরচ হবে প্রায় ১১ লাখ টাকা।” তিনি আশা করছেন, বাজারে ভালো দাম পেলে এবারও লাভ হবে।

এছাড়া, জেলা শহরের ইসলামি ব্যাংকে চাকরি করার পাশাপাশি ফুলকপির চাষ করছেন কৃষক বশিদ আহমেদ। তিনি বলেন, “আগাম ফুলকপি চাষে লাভবান হওয়ার আশা করছি।”

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. বরীআহ নূর আহমেদ জানান, চলতি মৌসুমে আগাম জাতের ফুলকপি আবাদ শুরু হয়েছে এবং কিছুদিন পরেই ফলন তুলতে পারবেন। কৃষি অফিস নিয়মিতভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।