রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে কৃষকরা মালচিং বা মাচা পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে ব্যাপক সাফল্যের আশায় রয়েছেন। এ পদ্ধতিতে টমেটো মাটির উপরের স্তরে থাকে এবং রোগবালাই কম হয়। অন্যান্য অঞ্চলে সাধারণত দেখা না গেলেও গোয়ালন্দের বেশ কয়েকজন কৃষক এবার এই উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চরকর্নেশনা এলাকার চাষি আনিস মোল্লা জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করেছেন। এতে তার মোট খরচ হয়েছে তিন লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত এক লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন তিনি। আশা করছেন এই জমি থেকে মোট ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন।
আরেক চাষি রাজ্জাক ম-ল জানান, তিনি বিউটি প্লাস, সাতশ সাতান্ন এবং বাহুবলি জাতের টমেটো চাষ করেছেন। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে বৃষ্টি ও কুয়াশার প্রভাব থেকে ফসল সুরক্ষিত রয়েছে। তার টমেটোর আকার ও রঙ উন্নত হওয়ায় বাজারে তা সহজেই বিক্রি হচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে টমেটোর কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, তবে এখন তা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোকন উজ্জামান বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন ভালো হয় এবং রোগের প্রকোপ অনেক কম থাকে। চাষিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদী।
