একসময় বিদেশি ফল হিসেবে পরিচিত স্ট্রবেরি এখন চুয়াডাঙ্গার মাটিতেও সফলভাবে চাষ হচ্ছে। কৃষি উদ্যোক্তা সজল আহমেদ তার ৬ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন, যা দেশের বাজারে বেশ চাহিদাসম্পন্ন একটি পণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
নভেম্বর মাসে চারা রোপণের পর জানুয়ারির শুরুতেই গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং কিছুদিনের মধ্যেই গাছে লাল টুকটুকে ফল ধরে। এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফল সংগ্রহ চলবে। বর্তমানে প্রতি কেজি স্ট্রবেরি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক একটি ফসল হয়ে উঠছে।
সজল আহমেদ জানিয়েছেন, এবার তিনি চারটি জাতের স্ট্রবেরি চাষ করেছেন। তার মতে, নিয়মিত পরিচর্যা করলেই গাছ ভালো ফল দেয় এবং অন্য ফসলের তুলনায় স্ট্রবেরি চাষ সহজ। প্রতিদিন তার বাগান থেকে ২৫-৩৫ কেজি ফল সংগ্রহ হচ্ছে এবং পুরো মৌসুমে ৩০ হাজার কেজির মতো ফলন আশা করছেন।
স্থানীয় কৃষকদের মতে, স্ট্রবেরি চাষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে এ ফলের উৎপাদন বাড়বে, বাজার সম্প্রসারিত হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চমূল্যের ফসল হওয়ায় এটির বাজার তৈরি করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে অন্যান্য জেলাতেও স্ট্রবেরি চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার স্ট্রবেরি চাষ কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই উদ্যোগ সফল হলে দেশীয় উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষকদের আর্থিক উন্নতি ঘটবে।
