
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং ২০১৫ সালে সৃজিত ৩৯৫টি নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন।
সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম মহবুবউজ্জামান একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, মৎস্য অধিদপ্তর ২০১৫ সালে "মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা" পদে ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টিসহ অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করে। উপ-সচিব সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত ওই প্রস্তাবে মোট ৬৩৭টি স্থায়ী পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়, যেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগ সম্মতিও প্রদান করেছিল।
একইসাথে পদগুলোর বেতন স্কেল অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ কর্তৃক নির্ধারণ এবং যাবতীয় ব্যয়ভার মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেট থেকে নির্বাহের নির্দেশনাও ছিল।
তবে দীর্ঘ দশ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন হয়নি। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- এর ফলে একদিকে যেমন দেশের মৎস্য সেক্টরের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তেমনি ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা এই সেক্টরে কাজে লাগানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তারা আরও উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে সৃজিত ৩৯৫টি পদ নবম গ্রেডের এবং বিশেষভাবে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নির্ধারিত। তাদের দাবি, নতুন পদ সৃষ্টি নয়, বরং ২০১৫ সালে অনুমোদিত ৬৩৭টি স্থায়ী পদের অর্গানোগ্রামের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং নিয়োগবিধিতে এই ৩৯৫টি পদ অন্তর্ভুক্ত করে অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা অবিলম্বে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, যদি দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।