ঢাকা, ২১ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার

নিরাপদ ও টেকসই কৃষি উৎপাদনে জৈব বালাইনাশক বিষয়ে বাকৃবিতে ৪ দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু



কৃষি

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(২ মাস আগে) ১১ আগস্ট ২০২৫, সোমবার, ৯:৫৯ অপরাহ্ন

agribarta

নিরাপদ কৃষি ফসল উৎপাদনের জন্যে কৃষকরা জমিতে বালাইনাশক ব্যবহার করেন। রাসায়নিক বালাইনাশক অতিরিক্ত ব্যবহার শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের স্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে। এই সমস্যা উত্তরণের জৈব বালাইনাশক কৃষিকাজে ব্যবহার অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।   
জৈব বালাইনাশকসমূহ ব্যবহার এবং তাদের গণ উৎপাদন, সংরক্ষণ, স্থানান্তর ও প্রয়োগ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম আলী ফকির সীড প্যাথলজি সেন্টারের প্রশিক্ষণ রুমে ওই কর্মশালার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগ। কর্মশালায় ময়মনসিংহ সদরের বিভিন্ন উপজেলার যারা বালাই ব্যবস্থাপনার সাথে মাঠ পর্যায়ে জড়িত, ডিলার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ জন অংশগ্রহণ করেন।

'এশিয়ায় প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান (এনবিএস) এর মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল কৃষি গড়ে তুলতে সরকারি অংশীদার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি' শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

৪ দিনব্যাপী ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবুর রহমান। এছাড়াও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুম আহমেদ, প্লান্ট প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী হোসাইন এবং প্রকল্পের প্রধান গবেষক কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

উদ্বোধনকালে ড. জি.এম. মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে নিরাপদ ও টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করতে জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসায়নিক বালাইনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের স্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে। তাই এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা কৃষকদের সঠিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলতে হলে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানকে (এনবিএস) আরও বেশি করে কাজে লাগাতে হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকরা যেমন উৎপাদন ব্যয় কমাতে পারবেন, তেমনি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করবেন।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও প্রশিক্ষণ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, জৈব বালাইনাশক পরিবেশবান্ধব, অবশিষ্টবিহীন এবং ফসলের জন্য নিরাপদ একটি সমাধান। প্রশিক্ষিতরা এ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করলে তারা নিজেরাই স্থানীয়ভাবে বালাইনাশক উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতে পারবেন, যা ব্যয় কমাবে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করবে।