সময়সীমা বাড়ানোর দাবি হিলির আমদানিকারকদের

কৃষি অর্থনীতি/
এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১ বছর আগে) ১৬ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

agribarta

রমজানে বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকে। চাহিদা অনুযায়ী জোগান না দিতে পারলে দাম বাড়ার পাশাপাশি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়। এসব পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম। পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি অনুমতিপত্রের (আইপি) সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।

গত সোমবার হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। গ্রুপের সিনিয়র সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, মামুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানসহ আমদানিকারকরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর এলসি করতে হয়। সে অনুযায়ী ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়। কিন্তু সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্রের সর্বশেষ সময়সীমা ১৫ মার্চ (আজ) পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ সময়সীমা যদি না বাড়ানো হয় তাহলে এরপর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ব্যবসায়ীদের চেয়ে ভোক্তার ক্ষতি বেশি হবে।’

তিনি বলেন, ‘১৫ মার্চের পর কোনো পেঁয়াজ ঢুকবে না, এমন তথ্য প্রকাশ পেলে দামও নাগালের বাইরে চলে যাবে। সরকার জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। পেঁয়াজ আমদানির সময়সীমা রমজান পর্যন্ত থাকলে সরবরাহও স্থিতিশীল হবে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‌আর কয়দিন পরেই রমজান। সে সময় দেশে পেঁয়াজের বেশ চাহিদা থাকে। এ সময়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেয়াটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছি আমরা।’

আরেক আমদানিকারক বলেন, ‘‌রমজানে যদি আমাদের ব্যবসা করার সুযোগ না দেয়া হয়, তাহলে বড় ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাধারণ মানুষকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে খেতে হবে।’

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘‌বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে যেসব অনুমতিপত্র (আইপি) রয়েছে বা নতুন করে দেয়া হচ্ছে, সেগুলোর মেয়াদ ১৫ মার্চ (আজ) পর্যন্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে। এটি আমরা সার্ভারে দেখতে পাচ্ছি। তবে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি বা নির্দেশনা আমরা পাইনি।’