ঢাকা, ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

লাকি ব্যাম্বুর বাণিজ্যিক চাষে সফলতা



কৃষি

এগ্রিবার্তা ডেস্ক:

(৯ মাস আগে) ১২ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ৩:০৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৭ অপরাহ্ন

agribarta

শহরে বা গ্রামে-গঞ্জে নানা কাজে ব্যবহৃত হয় বাঁশ। তবে এই বাঁশ রীতিমতো অবাক করে দিয়েছে এলাকার মানুষকে। যার নাম ‘লাকি ব্যাম্বু’ বা ‘ভাগ্যবান বাঁশ’। কোনো কোনো দেশে একে ফ্রেন্ডশিপ বাঁশ, কোঁকড়া বাঁশ, চাইনিজ ওয়াটার ব্যাম্বু বা দেবীর দয়ার গাছসহ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এ বাঁশ বাড়িতে রাখাকে শুভ বলে মনে করেন অনেকেই। তাই ঘর সাজাতে ব্যবহৃত হয়। উত্তরের জনপদ গাইবান্ধায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এই বাঁশ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছি শান্তিরামের হাফিজ এবং হাসিবুল মিলে চাষ করেছেন লাকি ব্যাম্বু। লাকি ব্যাম্বু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের টব এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে কয়েক বছরে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন দুই ভাই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, লাকি ব্যাম্বু উদ্ভিদের রং গাঢ় সবুজ বলে তা বাড়ির অন্তঃপুরে রাখলে ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সবুজের দিকে তাকালে চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকে। উদ্ভিদটিকে বাঁশ গাছ বলা হলেও এ গাছ আসলে বাঁশ প্রজাতির নয়, এটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলের লিলি প্রজাতির গাছ।

সরেজমিনে জানা গেছে, চার খণ্ডে বিভক্ত তিন বিঘা জমিতে ৩টি ভিন্ন রঙের লাকি ব্যাম্বু চাষ করেছেন হাফিজ ও হাসিবুল। কোনো অংশে চাষ করা হয়েছে সবুজ রঙের, কোনো অংশে আবার সবুজের মাঝে সাদা ডোরাকাটা, কোনো অংশে লাগানো হয়েছে গাঢ় সবুজ রঙের বাঁশ। সূর্যের আলোতে উৎপাদন হয় না বলে আধো আলো-ছায়া দেওয়ার জন্য জমির ওপর টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে সবুজ রঙের নেট জাতীয় কাপড়।

বাগানে ঢুকতেই চোখ যেন আটকে যায় সবুজে ভরা লাকি ব্যাম্বু উদ্ভিদের নজরকাড়া সৌন্দর্যে। টবে রাখার মতো উপযোগী করে সাজানো একেকটি ডিজাইনের দাম ৭০০-১০০০ টাকা। কখনোবা তারও বেশি। সে হিসেবে প্রতিবার রপ্তানিতে হাফিজের আয় হয় ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা।