নিশ্চিত নিরাপদ খাদ্যের একটি সেন্টার বা হাব তৈরির আগ্রহের কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। এ বিষয়ে ব্যাপক সাড়া পেয়ে এখন তা নিয়ে কাজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, ‘সামান্য পরিসরে খাদ্যকে নিরাপদ করার প্রচেষ্টা নিয়ে লিখেছিলাম। যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি তা বলার মতো নয়। ইনবক্স আর কমেন্ট পড়ার জন্য লোক লাগাতে হয়েছে আমাকে। সব তথ্য নিয়ে গুছিয়ে আনতে সময় লাগবে। এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’
‘অনেক মা-বোনেরা বাসায় হোম-মেড প্রোডাক্ট (খাদ্য) বানান, তারা সাহায্য চান। চিন্তা করছি তাদের বুস্ট-আপ করতে কী করা যায়। পথ একটা বের হবেই ইনশাআল্লাহ। অনেক উদ্যোক্তা পেয়ে গেছি। সরবরাহকারীও অনেক। এখন শুধু হুক-আপ করার পালা শুরু করতে হবে।’
‘মানুষের কাছে মূল্য কোনো বিষয় নয়। তারা নিরাপদ খাদ্য চান। আমরা বদ্ধ পরিকর। নিরাপদ খাদ্যের একটি মডেল তৈরি করবোই ইনশাআল্লাহ। এটা রকেট সাইন্স নয়। শুধু সদিচ্ছা, সাহস আর মনোবল থাকলে অবশ্যই তা করা সম্ভব।’
এই সাবেক সরকারি কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা প্রোটিন সোর্সের দিকে প্রথমেই নজর দিয়েছি। মাছ, মাংস এবং ডিম। যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। এরই মধ্যে কিছু সফলতা পেয়েছি আমরা। সবকিছু রেডি করে সবাইকে জানাবো ইনশাআল্লাহ।’
‘এবার আসি অন্য বিষয়ে। একটি কোম্পানির প্রতিদিন একটন আখের গুঁড় দরকার। অবশ্যই তা সর্বপ্রকার ভেজাল এবং কেমিক্যালমুক্ত হতে হবে। ল্যাব টেস্ট এবং তার বাড়ি, ঘর, কারখানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান এমনকি ওয়ার্ড মেম্বারের দ্বারা তথ্য যাচাই করে নেওয়া হবে।’
‘মুড়ি দরকার হবে। দরকার হবে সরিষার তেল। যাচাই পদ্ধতি একই। ইনবক্সে না দিয়ে কমেন্টে মোবাইল নাম্বার দিয়ে আপনাদের আগ্রহের কথা জানান, যারা সাপ্লাই দিতে পারবেন। এতে অন্য কোনো উদ্যোক্তাও আগ্রহী হয়ে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সর্বোপরি তা আমার জন্য অনেক সহজ হবে।’
‘আসুন না, সবাই মিলে একটু চেষ্টা করি। বাচ্চাদের তো বাঁচাতে হবে আমাদের। না হলে এই দায় নিয়েই কবরে চেলে যেতে হবে।’