টানা দুই বছর ধরে আলুর বাজারে অস্থিরতা চলছে, যার ফলে কৃষকদের মধ্যে আলু চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তবে, এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা ন্যায্য মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে বীজ বিক্রি করছে। বর্তমানে ভালো মানের বীজের দাম ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৯০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য একটি বড় চাপ সৃষ্টি করেছে।
বগুড়ার শাজাহানপুরের কৃষক আলতাফ হোসেন তিন বিঘা জমিতে আলু চাষের জন্য ১৫ মণ বীজ প্রয়োজন, কিন্তু তার কাছে মাত্র ৬ মণ বীজ রয়েছে। বাজার থেকে অতিরিক্ত দামে বীজ কিনতে গিয়ে তিনি হতাশ হয়ে ফিরে আসেন। অনেক কৃষক উচ্চ মূল্যের বীজ কিনতে না পেরে মানববন্ধন করেছেন, যার ফলে প্রশাসন ডিলারকে জরিমানা করেছে।
শাজাহানপুর উপজেলা আলুবীজ ডিলার সমিতির সভাপতি শাহাদত হোসেন জানান, বাজারে বীজের সংকট নেই, তবে দাম কিছুটা বেশি হতে পারে। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, কৃষকরা এবার বেশি লাভের আশায় আলুর আবাদে ঝুঁকছেন, তাই বীজের চাহিদা বেড়েছে।
বিএডিসি জানিয়েছে, গত বছর চার হাজার টন বীজ বিক্রি হয়নি, কিন্তু এবার ৬ হাজার ৪৯০ টন বীজ দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। পীরগঞ্জে কিছু ডিলার কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
খাবার আলুর বাজারেও অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭০০ টন আলু আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে দাম কমছে না। পাইকাররা একে অপরকে দোষারোপ করছে এবং ভোক্তারা হতাশ হয়ে পড়েছে।
