রাজবাড়ীর কৃষি উদ্যোক্তা আলাউদ্দিন শেখ বাণিজ্যিকভাবে পাকিস্তানি মালটা চাষ করে সফল হয়েছেন এবং তিনি মালটা বিক্রি করে ভালো লাভের আশা করছেন। বর্তমানে, প্রতিটি গাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ কেজি মালটা সংগ্রহ করা হবে। কৃষি বিভাগ তাকে মালটা চাষে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের ঘোরপালান গ্রামে আলাউদ্দিনের মালটা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় আধাপাকা মালটা ঝুলছে। কয়েকজন শ্রমিক মালটা সংগ্রহ করছেন এবং অনেক ক্রেতা বাগান থেকে মালটা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
আলাউদ্দিন শেখ জানান, ২০২১ সালে রংপুরের এক বন্ধুর কাছ থেকে পাকিস্তানি জাতের মালটার চারা সংগ্রহ করেন এবং দুই একর জমিতে রোপণ করেন। তিন বছরের মাথায় প্রতিটি গাছে ভালো ফলন এসেছে। এ বছর বাগান থেকে অন্তত ১৫ টন মালটা সংগ্রহ করা যাবে, যা প্রায় সাত লাখ টাকায় বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, “খেতে সুস্বাদু ও রসালো এই মালটার চাষে দীর্ঘ সময় ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন নানা বয়সের মানুষ তার বাগান দেখতে আসছেন এবং অনেকে চারা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন।”
বাগান পরিচর্যাকারী এনায়েত হোসেন জানান, মালটার ভারে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ছে এবং প্রতিটি গাছে ২৫ থেকে ৩০ কেজি মালটা ধরেছে। প্রতিদিনই বাগান থেকে মালটা বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল মোল্লা বলেন, “আলাউদ্দিন ভাইয়ের মালটার বাগান এলাকায় সাড়া ফেলেছে। তার বাগানের মালটা খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। তার উদ্যোগ দেখে অনেক বেকার যুবক মালটা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।”
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী বলেন, "ফলের বাগান করতে চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একবার মালটার বাগান করলে ১০ থেকে ১২ বছর ফল পাওয়া যায়।" তিনি জানান, এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি মালটা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ভবিষ্যতে এই ফলের চাষ আরও বাড়বে।
