রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণে নির্মিত ‘মডেল ঘর’-এর সুফল পাচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে তৈরি এসব ঘরে পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে এবং কৃষকরা বর্তমানে ভালো দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
জানা গেছে, বছরের শুরুতে কালুখালী উপজেলায় ২০টি এবং বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৩০টি মডেল ঘর নির্মাণ করে কৃষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘরগুলোতে কৃষকরা প্রায় ১৫ হাজার মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেছেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “আমি প্রতিবছর ৮ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করি। আগে চারচালা টিনের ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতাম, কিন্তু বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যেত। এখন নতুন ঘরে প্রায় ৪০০ মণ পেঁয়াজ রেখেছিলাম এবং একটিও নষ্ট হয়নি।”
অন্যদিকে, কাজিপুর উপজেলার কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, “গত মৌসুমের শেষে এই ঘর পেয়েছিলাম এবং সেখানে ৪০০ মণ পেঁয়াজ রেখেছিলাম। সবগুলো ভালো আছে এবং দামও ভালো পেয়েছি।”
জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাড়ির উঠানে বা ফাঁকা জায়গায় মাত্র এক শতাংশ জমিতে নির্মিত এই টেস্টিং ল্যাবে ছয়টি তাপ নিয়ন্ত্রণ ফ্যান ও তিন স্তরের মাচা রয়েছে। প্রতিটি ঘরে ৩০০ থেকে ৪০০ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা সম্ভব।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এই মডেল ঘরের মাধ্যমে কৃষকরা নিজেদের পেঁয়াজ সংরক্ষণে সক্ষম হচ্ছেন এবং এটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে তারা যেন এই ঘরের উদাহরণ দেখে নিজেদের জন্য একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
