ঢাকা, ২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার



সম্পাদকীয়

রাফসানুল আলম চৌধুরী

(২ মাস আগে) ৫ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

agribarta

কৃষি খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বব্যাপী একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে। উন্নত দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এআই প্রযুক্তি মাটির গুণাগুণ নির্ধারণ, সঠিক সেচ ব্যবস্থা, রোগ নির্ণয়, এবং কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটি শুধু উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করছে না, বরং সময় ও খরচও বাঁচাচ্ছে।

বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের ইতিবাচক উদাহরণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ডা. চাষী’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপটি ফসলের রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে। ফসলের ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করলে এটি সমস্যার সঠিক বিশ্লেষণ করে দ্রুত সমাধান জানায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ‘রাইস সলিউশন’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে, যা ধানের ক্ষেতের রোগ শনাক্ত করতে সক্ষম।

ড্রোন প্রযুক্তি কৃষি উন্নয়নে আরেকটি উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন। ড্রোনের মাধ্যমে মাটির আর্দ্রতা পরিমাপ, ফসল রোপণের ডিজাইন, কীটনাশক প্রয়োগ এবং সার্বিক পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। এআই চালিত ড্রোন প্রযুক্তি কৃষিকাজকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলছে।

তবে, এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গেলে কিছু চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হয়। বিশেষ করে, গ্রামীণ কৃষকদের মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণের অভাব একটি বড় সমস্যা। এই চ্যালেঞ্জ দূর করতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।

সার্বিকভাবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশের কৃষি খাতের সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে এটি কৃষি উৎপাদনকে আরও টেকসই, লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব করে তুলতে সক্ষম।

  • লেখক : বি.এস.সি ইন ফিসারিজ অনার্স, এম.এস.সি ইন ফিসারিজ রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট