.jpg)
বাংলাদেশে চলতি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, শিম ও আলুসহ একাধিক সবজির দাম ইতিহাসের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। বাম্পার ফলনের মধ্যেও কৃষকের কপালে ভাঁজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনার অভাব, সংরক্ষণ সুবিধার অপ্রতুলতা, এবং বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মনিটরিং ও মূল্যনির্ধারণের সুনির্দিষ্ট উদ্যোগের ঘাটতি কৃষকদের দুঃখ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। নিম্নমানের বীজ, ভেজাল সার এবং সেচের খরচ বৃদ্ধিতে প্রান্তিক চাষিরা আরও অসহায় হয়ে পড়েছেন।
অঞ্চলভিত্তিক ক্রপ জোনিং এবং ফসলের ক্রপ-ক্যালেন্ডার তৈরি না করা কৃষকের সমস্যার অন্যতম কারণ। একই এলাকার চাষিরা একসঙ্গে একই ফসল উৎপাদন করায় বাজারে পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ হলেও চাহিদার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কৃষকদের জন্য করণীয়:
- ক্রপ জোনিং এবং ক্রপ-ক্যালেন্ডার:
অঞ্চলভিত্তিক ফসল উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে চাষি দল তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে আগাম, মধ্যম এবং নাবি জাতের চাষের সমন্বয়ে উৎপাদন করতে হবে। - সঠিক মূল্য নিশ্চিতকরণ:
চাষি ও বাজারের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় কৃষক বাজার চালু করা উচিত। - সার ও বীজের মানোন্নয়ন:
সরকারি পর্যায়ে সিন্ডিকেট মুক্ত সার ও বীজ বিতরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। - কোল্ডস্টোরেজ সুবিধা:
প্রত্যেক উপজেলায় স্বল্প খরচে হিমাগার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। - কৃষি বীমা ও ঋণ:
কৃষি বীমা চালু এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফ করার কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
কৃষকের দাবি ও সুপারিশ:
- কৃষকদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ফসলভিত্তিক লোন চালু করা।
- রেলপথে কৃষিপণ্য পরিবহনে বিশেষ বগি বরাদ্দ।
- বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি।
এখন সময় এসেছে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার আদায়ের দাবি তোলার। উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণই কৃষকদের জন্য উন্নতির পথ খুলে দিতে পারে।