ঢাকা, ২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

সবজির ভালো ফলনেও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত, কেন?



সম্পাদকীয়

এগ্রিবার্তা ডেস্ক

(১ মাস আগে) ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

agribarta

বাংলাদেশে চলতি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, শিম ও আলুসহ একাধিক সবজির দাম ইতিহাসের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। বাম্পার ফলনের মধ্যেও কৃষকের কপালে ভাঁজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনার অভাব, সংরক্ষণ সুবিধার অপ্রতুলতা, এবং বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মনিটরিং ও মূল্যনির্ধারণের সুনির্দিষ্ট উদ্যোগের ঘাটতি কৃষকদের দুঃখ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। নিম্নমানের বীজ, ভেজাল সার এবং সেচের খরচ বৃদ্ধিতে প্রান্তিক চাষিরা আরও অসহায় হয়ে পড়েছেন।

অঞ্চলভিত্তিক ক্রপ জোনিং এবং ফসলের ক্রপ-ক্যালেন্ডার তৈরি না করা কৃষকের সমস্যার অন্যতম কারণ। একই এলাকার চাষিরা একসঙ্গে একই ফসল উৎপাদন করায় বাজারে পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ হলেও চাহিদার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের জন্য করণীয়:

  • ক্রপ জোনিং এবং ক্রপ-ক্যালেন্ডার:
    অঞ্চলভিত্তিক ফসল উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে চাষি দল তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে আগাম, মধ্যম এবং নাবি জাতের চাষের সমন্বয়ে উৎপাদন করতে হবে।
  • সঠিক মূল্য নিশ্চিতকরণ:
    চাষি ও বাজারের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় কৃষক বাজার চালু করা উচিত।
  • সার ও বীজের মানোন্নয়ন:
    সরকারি পর্যায়ে সিন্ডিকেট মুক্ত সার ও বীজ বিতরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • কোল্ডস্টোরেজ সুবিধা:
    প্রত্যেক উপজেলায় স্বল্প খরচে হিমাগার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে।
  • কৃষি বীমা ও ঋণ:
    কৃষি বীমা চালু এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফ করার কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

কৃষকের দাবি ও সুপারিশ:

  • কৃষকদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ফসলভিত্তিক লোন চালু করা।
  • রেলপথে কৃষিপণ্য পরিবহনে বিশেষ বগি বরাদ্দ।
  • বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি।

এখন সময় এসেছে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার আদায়ের দাবি তোলার। উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণই কৃষকদের জন্য উন্নতির পথ খুলে দিতে পারে।

সম্পাদকীয় থেকে আরও পড়ুন

সর্বশেষ