বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাজারে সিন্ডিকেটের অবসান ঘটবে এবং দ্রব্যমূল্য নাগালের মধ্যে আসবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দ্রব্যমূল্য পূর্ববর্তী মূল্যের তুলনায় আরও বেড়ে গেছে, যা মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত দুই বছর ধরে নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি উভয়েই কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে। যদিও সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ ও শুল্ককর হ্রাস, তবুও বাজারে এর সুফল দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানুষের ব্যয় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু আয়ের হার মাত্র ৮ শতাংশ। ফলে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে এবং অনেকেই বাড়তি অর্থঋণ নিয়ে খরচ চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশের বাজারে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী মানসিকতা এবং সিন্ডিকেটের কারণে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার কমলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
এখন সাধারণ মানুষ মাছ-মাংস খাওয়া তো দূরের কথা, চাল, ডাল ও তেল কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে অশনিসংকেত দেখা দিয়েছে এবং এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।